করোনা পরবর্তীতে রেলের কামরায় আসতে চলেছে আমূল পরিবর্তন
করোনা সংক্রমণের জন্য লকডাউন জারি হওয়ার সময় থেকেই দেশ জুড়ে বন্ধ ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। আনলক-১ এ স্পেশাল ট্রেন চললেও এখনো লোকাল ট্রেন চলার বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই ভারতীয় রেলের তরফে করোনা সংক্রমণ রুখতে যথাসম্ভব ব্যবস্থা করছে। আজ রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়াল টুইট করে জানিয়েছেন একথা। রেলমন্ত্রীর টুইট থেকে জানা যাচ্ছে, করোনা পরবর্তীতে ট্রেন চলাচলের সময় সংক্রমণ রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল।
নতুন ধরণের ট্রেনের কামরার নকশা করা হচ্ছে রেলের তরফে। একাধিক সুবিধাযুক্ত নতুন এই কামরা গুলি তৈরি করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, নতুন কামরা গুলিতে তামার আস্তরণযুক্ত হ্যান্ডেল, প্লাজমা পদ্ধতিতে এয়ার পিউরিফায়ার, বসার সিটে টাইটেনিয়াম ডাই অক্সাইড আস্তরণ দেওয়া হচ্ছে। রেলের কোচ তৈরির কারখানায় এই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। নতুন এই পদ্ধতিতে সংক্রমণের সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললে চলে। আরও জানা যাচ্ছে, নতুন কামরার সাথে সাথে পুরনো কামরা গুলিতেও একই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রেল সূত্রে খবর, করোনা পরবর্তী সময়ে রেলের কামরা সুরক্ষিত ও সংক্রমণ এড়ানোর বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমন ভাবে কামরা গুলির নকশা করা হয়েছে যাতে কামরার মধ্যে হাতের ব্যবহার খুব কম করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পায়ের স্পর্শেই চলবে সমস্ত কিছু। বাথরুমের ক্ষেত্রেও একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে। বাথরুমের দরজা খোলার সময় যাতে হাতের বদলে পায়ের ব্যবহার করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নতুন দরজা তৈরি করা হচ্ছে।
নতুন কামরা গুলির ক্ষেত্রে দরজার হাতল তামার আস্তরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ না হতে পারে। সমস্ত এসি কামরায় এয়ার পিউরিফায়ার লাগানো হয়েছে, যাতে বাতাস বিশুদ্ধ থাকে। নতুন কামরার বিভিন্ন জায়গায় টাইটেনিয়াম ডাই অক্সাইডের আস্তরণ ব্যবহার করা হয়েছে। টাইটেনিয়াম ডাই অক্সাইডের আস্তরণের ফলে ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকবেন যাত্রীরা।