Hoop Life

শিখে ফেলুন সুস্বাদু অমলেট কারি রেসিপি

ডিম খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। খেতে সুস্বাদু, দামেও কম, চটপট রান্নাও করা যায়। ১৪০০ বছর আগে চীনে মুরগি পালন করা হতো। আশা করা যায়, ডিমের ইতিহাসও অত বছর আগের। তবে এখনো ডিম আগে না মুরগি আগে প্রশ্ন প্রত্যেকেরই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। তবে বাইবেল কিন্তু এই রহস্য অনেকদিন আগেই বার করে দিয়েছে। তার মতে, মুরগি আগে আসে। ইতিহাস বলছে, উটপাখির ডিম সবচেয়ে বড় একটি ডিমের ওজন ১.৫ কেজি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা উচিত পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিমে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি২, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৫, ভিটামিন-সি ভিটামিন-ই, বায়োটিন, ফলিক অ্যাসিড, ফলিক অ্যাসিড, আয়োডিন, আয়রন, প্রোটিন। ডিম খেলে পেশি মজবুত হয়। বৃদ্ধ থেকে শিশু প্রত্যেকের ডিম খাওয়া উচিত। বিশেষ করে এবারের বয়সে শিশুদের হাফ বয়েল ডিম দেওয়া উচিত। ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়া ভীষণ প্রয়োজন। গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য ডিমের জুড়ি মেলা ভার।

উপকরণ : ডিম, গোলমরিচ গুঁড়ো, পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি রসুন কুচি, টমেটো কুচি, লঙ্কা কুচি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, নুন, মিষ্টি স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি, গরম মশলা গুঁড়ো, সরষের তেল।

প্রণালীঃ কড়াই প্রথমে সরষের তেল দিয়ে ভাল করে গরম করে একটা করে ডিমের অমলেট করে নিতে হবে। অমলেট করার জন্য ডিমের মধ্যে নুন, গোলমরিচ পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, প্রয়োজন পড়লে একটু ধনেপাতা কুচি দিতে পারেন। অমলেট গুলো তুলে পাশের থালায় রেখে দিতে হবে। করার প্রয়োজন পড়লে আরেকটু সরষের তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, আদা কুচি, টমেটো কুচি দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে প্রয়োজনমতো নুন, মিষ্টি দিয়ে একটু উষ্ণ জল দিয়ে অমলেট গুলো দিয়ে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পরেই ঢাকনা খুলে ধনেপাতা কুচি এবং গরম মশলার গুঁড়ো দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘অমলেট কারি’।

Related Articles