সঠিক নিয়মে পুজো না হলে রুষ্ট হন দেবতারা, রইল ৬টি সঠিক নিয়ম
ঠাকুর পুজো করার উদ্দেশ্য হলো ঠাকুরের আশীর্বাদ পাওয়া। কিন্তু সব কিছু করছেন অথচ আপনার জীবনে কোনো উন্নতি হচ্ছে না। এমনটা যদি হয় তাহলে বুঝবেন আপনার পুজোয় কোন ঘাটতি আছে। ঠাকুর ঘরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা ভীষণ প্রয়োজন এবং প্রয়োজন কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা। সব নিয়মকানুন মেনে চলে পুজো করলে ফল পাবেন হাতেনাতে। জেনে নিন কি কি নিয়ম পালন করবেন –
১) পুজো করার যদি সময় না থাকে পুজো করবেন না, কিন্তু যাই হোক করে পুজো করে দায় সারবেন না। সময় নিয়ে একমনে দেব দেবীর আরাধনা করতে হয়। তবেই সুফল পাওয়া যায়। পুজো করার আগে পারলে কিছুক্ষণ ধ্যান করুন। মন এবং মস্তিষ্ককে এক জায়গায় স্থির করে শান্ত করে তারপরে পুজো করতে বসুন।
২) পুজো করতে যাওয়ার আগে পূজোর সমস্ত জোগাড় করে রাখুন। পুজো করতে বসে বারবার উঠে এসে জোগাড় গুলো করলে পুজোয় বিঘ্ন ঘটে। সকালে পুজো করার জন্য আগের দিন রাতে স্নান করে উঠে কি পোশাক পড়বেন, ধুপ ধুনো, পূজার সরঞ্জাম হাতের কাছে জোগাড় করে রাখুন।
৩) পুজোর সময় ঠাকুরের সামনে আসন পেতে বসতে হবে। শাস্ত্র মতে, খোলা মাটিতে বসা একদমই উচিত নয়। যদি বিজ্ঞানসম্মতভাবে ধরেন তাহলেও খালি মেঝে একদমই উপযুক্ত নয়। ঠাণ্ডা মেঝেতে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। উত্তর-পূর্ব মুখে বসে পুজো করুন।
৪) প্রতিদিন নিয়ম করে নিত্য পুজো করার আগে ঠাকুর ঘর পরিষ্কার করতে হবে। আগের দিনের বাসি ফুল ফেলে দিতে হবে। ঠাকুরকে খাবার দেওয়ার থালা-গ্লাস ভালো করে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। নোংরা জায়গায় পোকামাকড়ের উপদ্রব হবে। প্রতিটি ঠাকুরের ছবি এবং মূর্তিকে ভালো করে পরিষ্কার করে মূর্তিতে সিঁদুর লাগাতে হবে।
৫) ঠাকুর ঘরে রাখা প্রদীপ যেন পূর্ব দিকে মুখ করে থাকে। আর অন্য একটি প্রদীপ যেন উত্তর দিকে মুখ করে থাকে। পূর্ব দিক থেকে প্রবেশ ঘটে সূর্যদেবের আর উত্তর দিক থেকে প্রবেশ ঘটে শুভ শক্তির। তাই শাস্ত্র মতে, উত্তর এবং পূর্ব দিকে প্রদীপের মুখ করে রাখার নিয়ম বলা আছে।
৬) প্রতিদিন বাগানের ফুল কিংবা ফুল কিনে এনে ঠাকুরকে সাজিয়ে দিতে হবে পুরনো ফুলগুলিকে ফেলে দিতে হবে। গন্ধযুক্ত ফুল হলেই ভালো হয় এবং ফুলের গন্ধে সকালবেলা যেন ঠাকুর ঘর শুদ্ধ গোটা বাড়ি ম ম করে। এতে গোটা বাড়ির মানুষের মানসিক দিক ভালো হয়ে যাবে।