বালুরঘাটের মেয়ে রীতা। বালুরঘাট আগে গ্রাম থাকলেও এখন আর সেটি গ্রাম নেই, চারিদিকে বাড়ি, মানুষজন, দোকানপাট কোলাহলে পরিপূর্ণ। একটা সময় এই সুন্দর জায়গাতেই শৈশব কাটিয়েছেন রীতা। এখন তিনি টালিগঞ্জের বাসিন্দা। পেশার খাতিরে টালিগঞ্জের প্রত্যেকটা জায়গা তার কর্মের বাসস্থান কিন্তু মনে রয়েছে বালুরঘাটের আবেগ।
সিনেমা, ধারাবাহিক, অভিনয়, আবৃত্তি- কে ভালোবেসে কলকাতার থিয়েটার জগতে ভর্তি হন। ওটাই তার প্রথম হাতেখড়ি। এরপর ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা’র স্কলারশিপ অর্জন করেন। তিনি শুধুই যে রুপোলি পর্দা নিয়ে চর্চা করে গেছেন তার একেবারেই নয়, যাদবপুর থেকে সংস্কৃতে এম এ করার পর বি এড করেন। সুতরাং শিক্ষকতার কাজ অনায়াসেই করতে পারতেন তিনি। কিন্তু অভিনয় নিয়ে যে এতটা ব্যাস্ত থাকবেন তার আশাও করেননি তিনি। পড়াশুনো সূত্রেই বালুরঘাট থেকে কলকাতা আসা, কিন্তু ‘জননী’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ডেবিউ করে ফেললেন বাংলা ধারাবাহিকে।
বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকে রীতা একজন জনপ্রিয় মুখ। বহু হিট ধারাবাহিকে তাকে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে। কখনো করেছেন কুসুমদোলা, গাছ কৌটো, অন্দরমহল, কখনো করেছেন সেই বিখ্যাত ডায়ালগ ‘ মা গো মা ‘ এর ‘ মা ‘ ধারাবাহিক। সম্প্রতি কাজ করছেন ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে। ডিসিপ্লিন নিয়ে একটু বেশি সচেতন তিনি এবং ব্যাক্তিগত সমস্যার প্রভাব কখনো কাজের উপর ফেলেননি তিনি।
View this post on Instagram
বাংলা ধারাবাহিক ছাড়াও নাটক, থিয়েটার এবং কিছু ফিল্মে তাকে দেখা গিয়েছে। অবশ্য বাংলা কমার্শিয়াল ছবিতে হয় মা নয় শাশুড়ির চরিত্র করার থেকে ধারাবাহিকে কমপ্লেক্স চরিত্রে তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য এবং তাকে দর্শকরা পছন্দ করেন।
শুধু পর্দার সামনে নয়, কখনো কখনো বেতারেও চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। আকাশবাণী এফ এম এর ফাউন্ডার টকার ছিলেন তিনি। একবার স্ক্রিপ্ট ছাড়াই মেঘদূত স্মরণ করে পুরো শো কভার করেছিলেন একাই। কাজের প্রতি তার ডেডিকেশন যে মারাত্মক তা তাকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই।