সাইফ আলি খানের সঙ্গে অমৃতার যখন বিচ্ছেদ হয়, সারার বয়স তখন মাত্র ৯। মায়ের আদর্শেই বড় হয়ে ওঠা। বিয়ের পর তাই মাকে একলা ফেলে চলে যাওয়ার একটুও ইচ্ছা নেই নবাব কন্যা সারার। মায়ের সঙ্গেই সবসময় থাকতে চান তিনি। আর তাই মা বাবার বিচ্ছেদ নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন সারা আলি খান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারা তার মা ও বাবার বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন যে তার মা অনেক কিছু সহ্য করেছে। সারার কথায়, জীবনে অনেক কিছু সহ্য করেছেন তাঁর মা। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন কিন্তু কখনও মাথা নীচু করেননি। তিনি এও বলেন সবকিছু থাকা সত্ত্বেও জীবনে অনেক সহ্য করতে হয়েছে তাঁর মাকে। ফলে জীবন নিয়ে যখন তিনি হতাশায় ভুগতে শুরু করেন, তখন ভাবেন, মা রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। মা-ই সবকিছু ঠিক করে দেবেন, সেই আশা থেকেই নতুন উদ্যোমে তিনি ফের কাজ শুরু করতে পারেন। “I think she has gone through so much more than I have in her life and if she can walk the way she does with her head held as high as she does as her daughter, then I would be worthy of your compliment,”
প্রসঙ্গত, ১৯৯১-এ বয়সে প্রায় দশ বছরের ছোট সইফের সঙ্গে বিয়ে হয় অমৃতার। এরপর ঠিক পাঁচ বছর পর তাঁদের প্রথম সন্তান সারার জন্ম হয়। ২০০১-এ আসে সইফ-অমৃতার দ্বিতীয় সন্তান ইব্রাহিম। কিন্তু আচমকাই বিয়ের প্রায় ১৩ বছর পর ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় সাইফ অমৃতার। এর পর অমৃতা আর বিয়ে করেননি, কিন্তু ২০১২ তে অভিনেত্রী করিনা কপূরকে বিয়ে করেন সইফ আলি খান । ২০১৬ সালে সইফ-করিনার ছেলে তৈমুরের জন্ম হয়। আবারও ২০২১ এ সাইফ করিনার দ্বিতীয় সন্তান আসে। সেই সন্তানকে দেখতেও আসেন সারা আলি খান।
একদিকে সারা যেমন তার মায়ের দুর্দশা নিয়ে প্রকাশ্যে সবটা বলেন তেমনই বেশ কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে সইফ বলেন, “তখন আমার বছর কুড়ি। অমৃতাকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকেই পালিয়ে যাই। বয়সটা নেহাতই কম। সুতরাং বুঝতেই পারছেন দায়িত্ব নেওয়ার মতো বোধ আমার তৈরি হয়নি। সে সময় অমৃতাই আমাকে শেখায় কী ভাবে কাজ, ব্যবসা সব কিছু গুরুত্ব দিয়ে করতে হয়। অমৃতা আমায় বোঝায় আমি যদি জীবনের ব্যাপারে সিরিয়াস না হই তাহলে কখনই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না”