whatsapp channel

ছবিতে থাকা বাচ্চা মেয়েটি মিস ওয়ার্ল্ড এর কন্যা, দেখুন চিনতে পারেন কিনা

একটি শিশু যখন পৃথিবীর আলো দেখে, তখন সে নেহাতই নিষ্পাপ, সরল। সে জানে না পৃথিবীর বুকের চড়াই-উতরাই। ইদানিং হঠাৎই একটি শব্দের উদয় হয়েছে, তা হল ‘স্টারকিড’। বিনোদন জগতের তারকাদের সন্তানদের…

Avatar

একটি শিশু যখন পৃথিবীর আলো দেখে, তখন সে নেহাতই নিষ্পাপ, সরল। সে জানে না পৃথিবীর বুকের চড়াই-উতরাই। ইদানিং হঠাৎই একটি শব্দের উদয় হয়েছে, তা হল ‘স্টারকিড’। বিনোদন জগতের তারকাদের সন্তানদের এই নামেই অভিহিত করা হচ্ছে। জন্ম থেকেই তারা থাকছে স্পটলাইটে। কিছু তারকা মা-বাবা পছন্দ করেন না, তাঁদের সন্তান ছোট থেকেই মিডিয়ার মুখোমুখি হোক। অধিকাংশ বলিউড তারকা এই মতে বিশ্বাসী। তাঁরা নিজেদের সন্তানদের একটি সুস্থ শৈশব দিতে চান। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। ঐশ্বর্য ও অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)-এর কন্যাসন্তান আরাধ্যা বচ্চন (Aradhya Bachchan) জন্মের আগে থেকেই পাপারাৎজিদের ক্যামেরার আলোয়। সেই সময় ঐশ্বর্যকে দেখা যেত নিজের বেবিবাম্প ওড়না দিয়ে ঢেকে বেরোতে। কোনো ম্যাটারনিটি ফটোশুট করেননি তিনি। আরাধ্যার জন্মের বহু পরে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)-এর জন্মদিনে তাকে সকলের সামনে নিয়ে আসেন ঐশ্বর্য।

আরাধ্যার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনোদিন শেয়ার করেন না বচ্চন পরিবারের সদস্যরা। তবে মিডিয়ার মাধ্যমে আরাধ্যার ছবি ভাইরাল হয়। একরত্তি আরাধ্যাকেও ট্রোলড হতে হয়েছে। তার হাঁটা দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, আরাধ্যার পায় সমস্যা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তা নয়, আর পাঁচজন বাচ্চার মতোই আরাধ্যাও একটি ছোট মেয়ে। শিশুরা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো হাঁটে। আরাধ্যাও একই ভাবে হেঁটেছে।

পাপারাৎজিদের ক্যামেরা দেখে আরাধ্যা প্রথম দিকে যথেষ্ট ভয় পেত। এমনও দেখা গিয়েছে, পাপারাৎজিদের দেখে সে লুকিয়ে পড়েছে তার মায়ের পিছনে। এখনও মা-বাবার কাছ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে আরাধ্যা। ঐশ্বর্য যখন সময় পান, তখন তিনি নিজেই মেয়েকে পড়ান। এছাড়াও মেয়েকে নিজের কাছছাড়া করেন না ঐশ্বর্য। শোনা যায়, অভিষেক একবার আরাধ্যাকে অভিনয়ে নিয়ে আসার কথা বলেছিলেন। অত্যন্ত রেগে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। তিনি চান, আরাধ্যার শৈশব আর পাঁচজন সাধারণ শিশুর মতোই হোক। বড় হয়ে সে নিজের ইচ্ছা মতো কেরিয়ার বেছে নিক।

পরিশেষে একটা কথা বলা উচিত, ‘স্টারকিড’ বলে দাগিয়ে দিয়ে শিশুদের অপাপবিদ্ধতা নষ্ট করার চেষ্টা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনবরত তার ছবি শেয়ারিং একটি শিশুর উপরেও প্রভাব ফেলে। একটি চারাগাছকে যেমন নিজের মতো করে বাড়তে দিলে সে বনস্পতি হয়, একটি শিশুকেও একই ভাবে তার মতো করে বাড়তে দিলে সে এই পৃথিবীকে আপন করে নিতে পারবে।

whatsapp logo