whatsapp channel

Aishwarya Rai Bachchan: অমিতাভের সঙ্গে ফিনফিনে নেটের শাড়িতে এন্ট্রি নিলেন ঐশ্বর্য, পড়তে হল সমস্যায়

ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai Bachchan)-এর সাথে যখন অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)-এর বিয়ে হয়েছিল, তখন অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, আদৌ এই জুটি টিকবে কি! কিন্তু হাওড়ার বিখ্যাত পন্ডিত ও জ্যোতিষবিদ মুরারীমোহন…

Avatar

ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai Bachchan)-এর সাথে যখন অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)-এর বিয়ে হয়েছিল, তখন অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, আদৌ এই জুটি টিকবে কি! কিন্তু হাওড়ার বিখ্যাত পন্ডিত ও জ্যোতিষবিদ মুরারীমোহন বেদান্ততীর্থ শাস্ত্রী (Murarimohan Vedantatirtha Shashtri) বলেছিলেন, অভিষেক ও ঐশ্বর্য রাজযোটক। নরমে-গরমে অনেকগুলি বছর পার করে ফেললেন অভিষেক ও ঐশ্বর্য। তবে ঐশ্বর্য যতবার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন, ততবার বচ্চন পরিবারে তৈরি হয়েছে অশান্তির বাতাবরণ। তা পরে টুইট করে চাপা দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)।

বিয়ের পর প্রথমদিকে ঐশ্বর্যকে খোলামেলা পোশাক পরতে দেখা যেত না। তবে ধীরে ধীরে আবারও আগের ছন্দে ফিরেছেন ঐশ্বর্য। সম্প্রতি তাঁর পুরানো কয়েকটি ছবি ফ্যানপেজের দৌলতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছে। তাতে ঐশ্বর্যর পরনের পোশাককে সঠিক অর্থে খোলামেলা বলা না গেলেও যথেষ্ট স্টাইলিশ। ছবিগুলি 2010 সালে আয়োজিত বিগ স্টার এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের রেড কার্পেটের। রেড কার্পেটে একসাথে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন অমিতাভ ও ঐশ্বর্য।

ঐশ্বর্যর পরনে ছিল নীল রঙের ট্রান্সপারেন্ট শাড়ি। শাড়িটি ডিজাইন করেছিলেন সেলিব্রিটি ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্র (Manish Malhotra)। নীল রঙের নেটের শাড়ি পাড় ও আঁচলে ব্যবহার করা হয়েছিল ডিপ বেগুনি রঙের ভেলভেট। পাড়ে ছিল সোনালি সিকুইনের কারুকার্য। এই শাড়ির সাথে একই রঙের স্লিভলেস ব্লাউজ পরেছিলেন ঐশ্বর্য। ব্লাউজে ছিল সোনালি সিকুইনের কারুকার্য করা। ব্লাউজটি ছিল ভেলভেট দিয়ে তৈরি। ব্লাউজটির নেকলাইন ছিল সামান্য ডিপ। এই শাড়ির সাথে কানে হীরের স্টাড পরেছিলেন ঐশ্বর্য। মেকআপ ছিল অত্যন্ত হালকা। চুল সেট করে কাঁধের একপাশে ফেলা ছিল। হাতে নিয়েছিলেন বেগুনি রঙের পার্স। তবে সত্যিই কি তাঁকে ফ্যাশনেবল লেগেছে এই শাড়িতে?

প্রশ্নের উত্তর রয়েছে ছবিগুলিতে। সেখানে সারাক্ষণ ঐশ্বর্যকে নিজেকে ঢেকে রাখতে হয়েছে গায়ে আঁচল জড়িয়ে। অবশ্যই আঁচল জড়ানোর জন্য কোনো পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। এই কারণে অত্যন্ত দায়সারা ভাবে আঁচলটি গায়ে জড়িয়েছেন তিনি। অপরদিকে আঁচল জড়ানোর পরিকল্পনা থাকলে অত স্টাইলিশ ব্লাউজ পরতেন না ঐশ্বর্য। কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানে একবারের জন্য ঐশ্বর্যর গা থেকে সরেনি আঁচল। তাঁকে প্রাণ খুলে হাসতে দেখা যায়নি। সামান্য হাসি সৌজন্য হিসাবে লেগেছিল ঐশ্বর্যর ঠোঁটে। প্রকৃতপক্ষে, অত্যন্ত রক্ষণশীল বচ্চন পরিবার তথা সমগ্র ভারতীয় সংস্কৃতিতে মনে করা হয় মেয়েরা নিজেদের সম্পূর্ণ আবৃত করে রাখলে তিনি অত্যন্ত ভদ্র। কিন্তু পুরুষরা যখন শার্টলেস হন, তখন ভদ্র-অভদ্রের সমীকরণ থাকে না। মনে করা হয়, তা যেন তাঁদের জন্মগত অধিকার। ঐশ্বর্য অশান্তি এড়াতে গিয়ে নিজেকে অযথা আবৃত করে সেই অন্যায় মনোভাবকেই প্রশ্রয় দিলেন না তো?

whatsapp logo