কাশীর টমেটো চাট থেকে বহুমূল্য ক্যাভিয়ার তিরামিসু, দেশি-বিদেশি মিলিয়ে কি কি পদ ছিল অনন্তের বিয়েতে!

ভারতীয় বিয়ের জাঁকজমকের কারণে এমনিতেই তা বহির্বিশ্বের কাছে বেশ আকর্ষণ। আর বিয়েটা যদি হয় ভারত তথা সমগ্র এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তিত্ব মুকেশ অম্বানি পুত্র অনন্ত অম্বানির (Anant Ambani Wedding), তাহলে যে বড়সড় একটা ধামাকা হবেই তা বলা বাহুল্য। সমগ্র দেশের বিনোদন জগতের তারকারা তো বটেই, রাজনৈতিক জগতের একাধিক নেতামন্ত্রীরা, আন্তর্জাতিক স্তরের তারকারাও আমন্ত্রিত ছিলেন অনন্ত এবং রাধিকার বিয়েতে। একই ছাদের তলায় যেন বিশ্বের এক ক্ষুদ্র সংষ্করণ তৈরি করেছিলেন মুকেশ অম্বানি।

বিগত প্রায় ৩ মাস ধরে প্রি ওয়েডিং সেরেমনি এবং গত তিন চার দিন ধরে নানান প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানের পর অবশেষে গত ১২ জুলাই, শুক্রবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন অনন্ত রাধিকা। ইতিমধ্যেই বিয়ের আসরের নানান চমক এবং অতিথি তালিকা জেনে গিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে যে বিষয়টি না থাকলে বিয়ে বাড়ি অসম্পূর্ণ তা হল খাওয়া দাওয়া। আর ভারতীয় খাবারের জনপ্রিয়তা তো রয়েছে বিশ্ব জুড়েই। দেশি বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়ন করতে খাবারের কী ব্যবস্থা রেখেছিল অম্বানি পরিবার?

প্রি ওয়েডিং সেরেমনিতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান খাবারের পসরা সাজিয়ে চমক দিয়েছিলেন মুকেশ এবং নীতা অম্বানি। বিয়ের অনুষ্ঠানে যে আরো এলাহি আয়োজন ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা যায়, অনন্ত অম্বানি অন্ধ্রপ্রদেশের পেসারাট্টু ধোসার বিশেষ ভক্ত। এই ধোসার পাশাপাশি ছিল বিখ্যাত মাদ্রাজ ফিল্টার কফি, মাইলাপোর ফিল্টার কফির মতো পানীয়। শুধু ভারতীয় নয়। জানা গিয়েছে, গোটা বিশ্বের বিভিন্ন কুইজিন মিলিয়ে প্রায় ২৫০০ টিরও বেশি পদ ছিল এই হেভিওয়েট বিয়েতে।

বিয়ের আগেই প্রখ্যাত কাশী চাপ ভাণ্ডার থেকে নানান মুখরোচক খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন নীতা অম্বানি। সেই মতো মেনুতে ছিল পালক পাতা চাট, টমেটো চাটের মতো খাবার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার এক নামী ক্যাটারারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিদেশি অতিথিদের খাবার পরিবেশনের। ছিল নারকেলের তৈরি ১০০ রকম পদ, ক্রিমে ভরা রাবড়ি থেকে দামী ক্যাভিয়ার তিরামিসুও। অতিথি আপ্যায়নে ভূরিভোজে কোনো খামতিই রাখেননি মুকেশ এবং নীতা অম্বানি।