BollywoodHoop Plus

সিনেমার গল্প ভুয়ো! বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জী’ সাগরিকার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তাঁর স্বামীর

সদ্য মুক্তি পেয়েছে রানী মুখার্জী (Rani Mukherjee) ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) অভিনীত ফিল্ম ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’। নরওয়ের প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে এক মায়ের নিজের সন্তানদের ফিরে পাওয়ার লড়াই এই ফিল্মে তুলে ধরেছেন পরিচালক অসীমা ছিব্বর (Ashhima Chibber)। রানী মুখার্জী অভিনীত চরিত্র দেবিকার প্রকৃত নাম সাগরিকা চক্রবর্তী (Sagarika Chakraborty)। সাগরিকার লড়াইয়ের কথা এই ফিল্মের আগে অনেকের অজানা ছিল। কিন্তু ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’-তে অসীমা স্পষ্ট তুলে ধরেছেন সাগরিকার লড়াইয়ের সময় তাঁর প্রতি স্বামীর খারাপ ব্যবহারের ঘটনাও। আসলে প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরাই ছিল অসীমার লক্ষ্য। কিন্তু এই সত্যের কারণে আবারও ব্যক্তিগত আক্রমণের সম্মুখীন হচ্ছেন সাগরিকা। তাঁর স্বামী অনুরূপ ভট্টাচার্য (Anurup Bhattacharya) বিস্ফোরক হয়ে তাঁর নামে পরকীয়ার অভিযোগ আনতেও কার্পণ্য করেননি।

‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’-তে দেবিকার উপর তাঁর স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। সমস্যার সূত্রপাত এখানেই। অনুরূপ তা স্বীকার করতে রাজি নন। তিনি জানিয়েছেন, সাগরিকার নরওয়েতে ফেরার ইচ্ছা ছিল না। তিনি দেড় বছর ভারতে ছিলেন। অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর সাগরিকা নরওয়েতে অনুরূপের কাছে ফিরেছিলেন। তবে অনুরূপের অদ্ভুত অভিযোগ হল, আমরি হাসপাতালে কাজ করার সময় সাগরিকা ওখানে এক চিকিৎসকের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু অনুরূপের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি নিজেই বলেছেন, এটি তাঁর শোনা কথা। অর্থাৎ এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই। সাগরিকার মা শিখা চক্রবর্তী (Shikha Chakraborty) জানিয়েছেন, বিয়ের আগে মাত্র কয়েক মাস তাঁর মেয়ে আমরিতে কাজ করেছিলেন। তবে এরপর অনুরূপের সাথে দেখাশোনা করেই সাগরিকার বিয়ের ব্যবস্থা করেন তাঁর পরিবার। সাগরিকাও বর্তমানে তাঁর বিয়ির আগের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে নারাজ।

অপরদিকে অনুরূপের অভিযোগ, বিরাট (Virat) নামে একজন অপরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে সাগরিকা তিন দিন ছিলেন। বিরাট সন্তানদের ফিরে পেতে সাহায্য করেছিলেন সাগরিকাকে। তবে তাঁকে চেনেন না অনুরূপ। অনুরূপ ভারতে আসেন না। কারণ ভারতের মাটিতে পা দিলে তাঁর আশঙ্কা, তিনি গ্রেফতার হয়ে যাবেন। কিন্তু দূরে থেকেই তাঁর সন্তানদের মঙ্গল চান অনুরূপ। কিন্তু সাগরিকা জানালেন, অনুরূপ তাঁদের সন্তানদের জন্য এক পয়সাও সাহায্য না করার ফলে তাদের প্রতিপালনের জন্য চাকরি নিয়ে তাঁকে রাজ্যের বাইরে থাকতে হচ্ছে। অনুরূপের দাবি, নরওয়ের আইন অনুযায়ী তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও ভারতীয় আইনে তা বৈধ নয়। ফলে এখনও তিনি ও সাগরিকা বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ। কিন্তু সাগরিকা জানিয়েছেন, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। তবে ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’-তে যা দেখানো হয়েছে, সেই ঘটনার প্রত্যেকটি তথ্য প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। সত্য ঘটনা সামনে আসার ফলেই অনুরূপ বর্তমানে তাঁর দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন সাগরিকা।

সাগরিকা জানিয়েছেন, অনুরূপ কোনোদিনই সন্তানদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেননি। পরকীয়ার অভিযোগ নস্যাৎ করে সাগরিকা বললেন, সত্যিই যদি তিনি কোনো সম্পর্কে থাকতেন তাহলে গত বারো বছর ধরে একা জীবন কাটাতেন না। বিয়ে করে নিতেন সেই ব্যক্তিকে। গত বারো বছরে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ভাবেননি সাগরিকা। কিন্তু এবার অযথা তাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠার ফলে সহ্য করতে না পেরে তিনি জানিয়েছেন অনুরূপকে ডিভোর্স দেবেন তিনি। সাগরিকার মা শিখা দেবীও বললেন, অনুরূপের কাছে না থাকার কারণেই বেঁচে গিয়েছেন সাগরিকা।

Related Articles