শাকিব খান (Shakib Khan)-এর প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস (Apu Biswas) দীর্ঘ ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত প্রযোজক-অভিনেত্রী। বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বুকে কতিপয় মহিলা প্রযোজকদের মধ্যে অন্যতম তিনি। অপুকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব। তাঁদের পুত্রসন্তান অ্যাব্রাম খান জয় (Abram Khan Joy)-এর জন্মের পর পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হতে থাকে। বাংলাদেশের আরও এক অভিনেত্রী শবনম খান বুবলি (Shabnam Khan Bubly)-র সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হন শাকিব। যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন অপু। একটি সাক্ষাৎকারে জয়কে কোলে নিয়ে এসে শাকিবের সাথে বিয়ে ও সন্তানের জন্মের খবর জানিয়ে দেন তিনি। এরপর শাকিবের সাথে অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
পরবর্তীকালে শাকিব বিয়ে করেন বুবলিকে। আমেরিকায় গোপনে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের পুত্রসন্তান শেহজাদ খান বীর (Shehzad Khan Veer)- এর জন্মের কয়েক বছর পর বুবলিও ফেসবুকে সত্য প্রকাশ করেন। তাঁর সাথেও শাকিবের সেপারেশন হয়ে যায়। তবে শাকিব দ্বিতীয় বার বিয়ে করলেও অপু এখনও সেকেন্ড ম্যারেজের কথা ভাবেননি। গত এক বছরে ভারত ও বাংলাদেশের বুকে অভিনয় তো বটেই, অপু করেছেন একাধিক ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট। পাশাপাশি প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করেছেন তিনি। বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অপু নিজেই হয়ে উঠতে চলেছেন এক শক্তি। সাম্প্রতিক কালে বুবলি প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নায়িকাকে ঘৃণা করেন তিনি।
অপুর এই মতামতের জন্য অনেকেই মনে করতে থাকেন, শাকিবের সাথে তাঁর সম্পর্কের উন্নত সমীকরণ এর কারণ। বুবলি যখন শাকিবের বিরুদ্ধে ‘প্রিয়তমা’ থেকে রিপ্লেসের অভিযোগ তুলেছিলেন, সেই সময় অপু প্রাক্তন স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শাকিবকে তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্তম্ভ আখ্যা দিয়েছিলেন। ফলে অজস্র প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন অপু। তবে তিনি মনে করেন, প্রত্যেক ব্যক্তির সীমারেখা থাকা উচিত এবং তা অতিক্রম করার প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি শাকিবের সাথে অপুর আমেরিকা ট্রিপ নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
তবে অপু জানিয়েছেন, তিনি ও শাকিব সহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা জয়কে নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। সন্তানের কাছে তার পরিবার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক অশান্তি নিজেদের মধ্যে রেখে মা-বাবা হিসাবে জয়কে সুনিশ্চিত জীবন দেওয়া তাঁদের কর্তব্য বলে মনে করেন অপু ও শাকিব। শাকিবকে যথেষ্ট ভালো বাবা বলে মনে করেন অপু। তবে নিজে দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভাবেননি তিনি। কারণ অপু জানেন, বাংলাদেশে তাঁর বিশেষ স্থান রয়েছে। সকলেই মনে করেন, অপুর প্রতিটি কাজ বার্তাবাহী।
মা হিসাবে আত্মত্যাগ অপুর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি মনে করেন, তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করলে জয়ের জীবনে আসবে সৎ বাবা। সৎ বাবার কাছে জয় হয়তো একই রকম ভালোবাসা নাও পেতে পারে। এই কারণে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না অপু।
View this post on Instagram