whatsapp channel

Aparajita Apu : শাশুড়ির অনুপ্রেরণায় হুইল চেয়ারে বসেই সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসল অপু

‘অপরাজিতা অপু’-র চিত্রনাট্যে ক্রমশ আসছে নতুন মোড়। আপাতত দুর্ঘটনার ফলে অপু বন্দী হুইলচেয়ারে। সে বাড়ির বাইরে যেতে পারে না। অথচ তার পরীক্ষা এগিয়ে এসেছে। তবুও অপু বই হাতে তুলে নেয়।…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Advertisements
Advertisements

‘অপরাজিতা অপু’-র চিত্রনাট্যে ক্রমশ আসছে নতুন মোড়। আপাতত দুর্ঘটনার ফলে অপু বন্দী হুইলচেয়ারে। সে বাড়ির বাইরে যেতে পারে না। অথচ তার পরীক্ষা এগিয়ে এসেছে। তবুও অপু বই হাতে তুলে নেয়। তার মনে হয়, পরের দিন সরকারী চাকরির ফাইনাল পরীক্ষা। এখনও অনেক পড়া বাকি। কিন্তু তার স্বামী দীপু তাকে নিয়ে ভয় পায়। সে অপুর হাত থেকে বই কেড়ে নিয়ে বলে, বাড়ির বাইরে অপুর জন্য নিরাপদ নয়। ফলে দীপু তাকে বাড়ির বাইরে যেতে দিতে চায় না এবং চাকরিও করতে দিতে চায় না। কিন্তু অপুর স্বপ্ন নিজের পায়ে দাঁড়ানো।

Advertisements

একজন নারীর স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন আরেকজন নারী। ফলে পরীক্ষার হলে যখন অপুর নাম ধরে ডাকা হয়, তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে হুইলচেয়ারে বসেই পরীক্ষা দিতে আসে অপু। সেই হুইলচেয়ার ঠেলে নিয়ে আসেন তার শাশুড়ি। তিনি তার চিবুক ছুঁয়ে আদর করে বলেন, মন দিয়ে পরীক্ষা দিতে। কারণ এবার তাঁর বিডিও বৌমা চাই। অপুর চোখে জল চলে আসে আনন্দে। শাশুড়ি ও বৌমার এত সুন্দর বন্ডিং চিত্রনাট্যে এক মাধুর্য সৃষ্টি করেছে।

Advertisements

প্রকৃতপক্ষে, একবিংশ শতকে এসেও এখনও অবধি শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে সব সংসারে সদ্ভাব নেই। কখনও বৌমার হাতে শাশুড়ি অত্যাচারিত হয়ে বাড়িছাড়া হন। কখনও বা শাশুড়িরাই বৌমাকে পুড়িয়ে মারেন। নিজে নারী হযেও বহু শাশুড়ির চাহিদা থাকে পুত্রসন্তান। বহু প্রত্যন্ত এলাকায় কন্যাসন্তানকে মেরে ফেলতে আজও দ্বিধা বোধ হয় না। সময় ক্রমশ যেন অশান্ত হয়ে উঠছে।

Advertisements

অশান্ত সময়ে দাঁড়িয়ে ‘অপরাজিতা অপু’-র চিত্রনাট্য সমাজে এক নতুন বার্তা দিয়েছে। এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে এক নারী অপর নারীকে একটু সহযোগিতা করলেই নারীজাতি সফল হতে পারেন।

Advertisements
whatsapp logo
Advertisements
Avatar
HoopHaap Digital Media