এখনও বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ার একটি ভাঙাচোরা বাড়িতে রয়েছেন তিনি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ, উপার্জন প্রায় নেই বললেই চলে, এমত অবস্থায় কারোর উপর নির্ভরশীল তিনি নন, এমনকি জেলে বন্দী মেয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা পর্যন্ত বলেন না। জানতেও চান না কেমন আছেন মেয়ে কিংবা নিজে কেমন আছেন সেটাও জানাতে চান না তিনি। এই গোটা ঘটনার দুটি চরিত্রে রয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) ও তাঁর মা মিনতি মুখোপাধ্যায়। আপাতত, মা মেয়ের মধ্যে তৈরি হয়েছে গভীর দূরত্ব। কেমন আছেন অর্পিতা?
SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা, সোনা সহ বৈদেশিক মুদ্রা। তদন্তে নেমে দেখা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক সম্পত্তির মালিক হন, এই অর্পিতার নামেই ছিল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, জীবন বীমা থেকে দামী গাড়ি সহ সোনার গহনা। এখন যদিও রাজা হয়েছে ফকির। এমনকি, নিজের রক্তের সম্পর্কের মা বোন পর্যন্ত জেলে আসেন না খোঁজ খবর নিতে। এদিকে মায়ের দুশ্চিন্তায় দিন রাত কেঁদে চলেছেন অর্পিতা।
পূর্বের এক সাক্ষাৎকারে অর্পিতার মা জানিয়েছিলেন যে আইনে পুরো বিশ্বাস রয়েছে তাঁর। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে তা ঠিক। এরপরে মেয়ের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি। ওই বৃদ্ধার এখন অবলম্বন বলতে একজন সর্বক্ষণের পরিচারিকা। শুধু মাত্র পেনশনের টাকায় চলছে তার একার জীবন।
দেওয়ানপাড়ার একটি ভাঙাচোরা বাড়িতে থেকেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় অর্পিতার মা।একটা সময় চেয়েছিলেন যে মেয়ে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করুক, কিন্তু সে চলে যায় গ্ল্যামার জগতে। তারপর নিঃশব্দে অন্ধকার দুনিয়ায় পা রাখেন অর্পিতা, যার খেসারত দিচ্ছেন অর্পিতা নিজেও এবং তার মাও।