Babul Supriyo: রচনার সঙ্গে কিভাবে হয়েছিল প্রেম! ‘দিদি নং 1’-এর মঞ্চে মুখ খুললেন বাবুল সুপ্রিয়
সম্প্রতি রাজনীতিবিদ ও গায়ক বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)-র জীবনে ঘটে গেছে বিরাট রদবদল। বহুদিনের গেরুয়া শিবির আচমকাই ত্যাগ করে তিনি যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এবার ‘দিদি নং 1’-এর মঞ্চে এলেন সস্ত্রীক বাবুল সুপ্রিয়। শোয়ের সঞ্চালক রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)-র অনুরোধে শোনালেন তাঁর দাম্পত্যের গল্প।
রচনা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বাবুলের জীবনে পাঁচ বছর আগে কি ঘটেছিল! বাবুল জানালেন, সর্বশেষ ফ্লাইটে তিনি তাঁর গন্তব্যে ফিরছিলেন। সেই সময় ফ্লাইটে তিনি তাঁর সামনে একজন এয়ার হোস্টেসকে ঘুরে বেড়াতে দেখেন। বেল বাজিয়ে বাবুল কফি চাইলে একজন অন্য এয়ার হোস্টেস কফি নিয়ে আসেন। অন্য এয়ার হোস্টেসকে দেখে বাবুল বলেন, তিনি পরে কফি খাবেন। এরপর দ্বিতীয়বার বেল বাজালে তাঁর সামনে এলেন তাঁর পছন্দের সেই প্রথম এয়ার হোস্টেস। এয়ারলাইন্সের কোস্টার ও একটি পেন নিয়ে বাবুল তাঁকে দিয়ে বলেন, তাঁর মোবাইল নম্বর লিখে দেওয়ার জন্য। এই কথা শুনে হেসে ফেলেন রচনা।
অপরদিকে তো মদন মিত্র (Madan Mitra) মিটিমিটি হাসছেন। এয়ার হোস্টেস কোস্টারে একটি মোবাইল নম্বর লিখে বাবুলকে ফেরত দিলে বাবুল নম্বরটি কেটে দিয়ে বলেন, তাঁকে প্রকৃত নম্বর দিতে। রচনা শুনে বললেন ‘কেয়া বাত!’ এরপর বাবুল প্রতিদিন সকালে হোয়্যাটসঅ্যাপে গান পাঠাতেন। প্রতিটি গানে তিনি ‘রচনা’ ঢুকিয়ে দিতেন। এর মধ্যেই মদন বললেন, বাবুলের ভুল নম্বর ধরার মধ্যে একটি বড় কেমিস্ট্রি রয়েছে। রচনাও সায় দিলেন মদনের কথায়। তিনি অবাক হয়ে গেছেন। তবে মদন বললেন, তাঁকে ভুল নম্বর দিলে তিনি বাড়ি ফিরে এসে ওই নম্বরেই ফোন করতেন এবং বারবার রং নাম্বার শোনাত। মদনের মতে, এই ব্যাপারে বাবুলের যথেষ্ট পড়াশোনা রয়েছে। রচনা বললেন, বাবুলকে দেখে শান্ত মনে হয়। কিন্তু বাবুলের স্ত্রী রচনা শর্মা সুপ্রিয় (Rachana Sharma Supriyo) জানালেন, বাবুল মোটেও শান্ত নন। মদন রেগে গেলে তাঁর স্ত্রী চুপ করে থাকেন। বাবুল বললেন, তিনি রেগে গেলে রচনাও যেন চুপ করে থাকেন! পরে তিনি গান গেয়ে তাঁর মান ভাঙিয়ে দেবেন।
মদনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাবুল বলেছেন, তিনিও বাড়ির কাজ করবেন না। রচনাকে নিয়ে বিয়ের প্রথম দিন থেকেই সব জায়গায় যান বাবুল। একবার রচনাকে রেনকোট পরিয়ে বৃষ্টির মধ্যে বুলেটে বসিয়ে আসানসোল নিয়ে গিয়েছিলেন বাবুল। পিছনে ছিল তাঁর কনভয়। এখনও অবধি রচনা বাইরে বেরোলে তাঁকে টিপ পরিয়ে দেন বাবুল। রচনার অনুরোধে তাঁর ও নিকের স্ত্রী রচনার জন্য ‘ইয়ে নয়না, ইয়ে কাজল’ গেয়ে ‘দিদি নং 1’-এর মঞ্চ মাতিয়ে দিয়েছেন বাবুল। পরিশেষে, স্ত্রীকে বলতে ভোলেননি “রচনি, তুম মেরি সুন্দরী”।