whatsapp channel

সন্তানের জন্মের পর ব্রেস্টফিডিং না করালে বেড়ে যায় যে সমস্ত রোগের ঝুঁকি

শিশুর জন্মের পরে অন্তত ছয় মাস শিশুকে ব্রেস্টফিডিং করাতে হয়। মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য ভীষণ উপকারী। তবে বর্তমানে মায়েরা অনেক ব্যস্ত থাকে শিশু জন্মের তিন মাস পরে তারা রেস্ট…

Avatar

HoopHaap Digital Media

শিশুর জন্মের পরে অন্তত ছয় মাস শিশুকে ব্রেস্টফিডিং করাতে হয়। মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য ভীষণ উপকারী। তবে বর্তমানে মায়েরা অনেক ব্যস্ত থাকে শিশু জন্মের তিন মাস পরে তারা রেস্ট নিয়ে আবার যে যার কাজে বেরিয়ে পড়ে। ছমাস পর্যন্ত ব্রেস্ট ফিডিং করানো সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু কোন বাচ্চা যদি ছয় মাস শুধু মায়ের দুধ পান করে তাহলে সে শারীরিভাবে অনেক সুস্থ থাকে। তবে অনেক সময় শিশু জন্মের পরে প্রথম বুকের দুধ খাওয়ানো অনেক মায়ের পক্ষে খুব কষ্টকর হয়ে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা বুকের ওপর মুখ রাখলেও সঠিকভাবে মাতৃস্তন্য টানতে পারেনা। যার ফলে উভয় দিক থেকেই সমস্যা হতে পারে। বেস্ট ফিডিং উপযুক্ত পরিমাণে না করালে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

সন্তানের জন্মের পর ব্রেস্টফিডিং না করালে বেড়ে যায় যে সমস্ত রোগের ঝুঁকি

এবার যে বিষয়টিতে মাথায় রাখতে হবে। তাহলে অনেক সময় বুকে পরিমাণমতো দুধ আসে না। এর জন্য পুরো গর্ভাবস্থায় আপনাকে এমন খাবার খেতে হবে যাতে সহজে দুধ আসতে পারে এবং লাউশাক প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এতে বুকের দুধের পরিমাণ বেড়ে যায়। এছাড়া আমাদের মা ঠাকুমাদের আমলের সেই দুধ সাবু, অবশ্য যদি ঠান্ডা লাগার থাকে তাহলে সূর্যাস্তের আগে খেয়ে নিন। এতেও বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কলমি শাক প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন, শাক খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। সবুজ শাক ভ্রূণের ও পুষ্টিতে সাহায্য করবে এছাড়া বুকের দুধ আনতে সাহায্য করে।

সন্তানের জন্মের পর ব্রেস্টফিডিং না করালে বেড়ে যায় যে সমস্ত রোগের ঝুঁকি

অনেক সময় দুধ জমাট বেঁধে স্তনের মধ্যে শক্ত হয়ে যায়। এবং ব্যথা অনুভূত হতে পারে, সেক্ষেত্রে গরম সেঁক দিয়ে দিয়ে দুধ হাতে করে বার করে নিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় স্তনের বোঁটা ফেটে যেতে পারে, যা থেকে রক্তপাত পর্যন্ত হতে পারে। এই সময়ে স্তন্যপান করানো ভীষণ কষ্টকর হয়ে থাকে তাই এই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত ব্যথা-বেদনা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। খাওয়ানোর সময় অবশ্যই পজিশন ঠিক করে খাওয়াতে হবে। নতুন মা যারা তাদের খাওয়াতে অসুবিধা হতে পারে অথবা সিজারিয়ান ডেলিভারি হলে বসে বসে খাওয়ানো একটু কষ্টকর হয়।

সন্তানের জন্মের পর ব্রেস্টফিডিং না করালে বেড়ে যায় যে সমস্ত রোগের ঝুঁকি

কিন্তু কারুর সাহায্যে যদি ঠিকভাবে মুখের মধ্যে স্তনের বোঁটা দিয়ে দিতে পারেন, তাহলে বাচ্চার পক্ষে টেনে খাওয়া অনেক সুবিধাজনক হয়। এরকম ভাবে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে ব্রেস্ট পাম্প করে বোতলের মধ্যে দিয়ে সেই বোতল বাচ্চাকে দিতে পারেন। যেমন ভাবেই হোক ব্রেস্ট মিল্ক বাচ্চাকে খাওয়াতেই হবে। না হলে অসুবিধা হতে পারে। ব্রেস্ট মিল্ক বাচ্চাদের ইমিউনো পাওয়ার তৈরি করতে সাহায্য করে, যে সমস্ত চাকুরিরতা মায়েরা আছেন, তারা অবশ্যই তিন মাস পরে যখন চাকরি করতে বেরোবেন তারা এই বোতলের মধ্যে ব্রেস্ট মিল্ক দিয়ে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিতে পারেন। সময় সময় অন্তর অন্তর এর বোতলের সাহায্যে আপনার বুকের দুধ বাচ্চার কাছে পৌঁছে যেতে পারে।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media