গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে তিনি রেখে গেছেন সংগীত জগতে এক অপার শূন্যতা। তাঁর গানের ছন্দে মেতে উঠেছে দশকের পর দশক। গতকাল প্রয়াত শিল্পীর অস্থি মুম্বই থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। ভারতের প্রথম ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ীর অস্থি বিসর্জনের দিন উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী চিত্রাণি লাহিড়ী, পুত্র বাপ্পা লাহিড়ী, মেয়ে রেমা লাহিড়ী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
বাপ্পি লাহিড়ীর চলে যাওয়া সংগীত জগতে এক নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতি। তার চলে যাওয়া শোকস্তব্ধ সুরের জগত। সংগীতের মহারথীদের এই চলে যাওয়া যেন সঙ্গীতপ্রেমী এবং স্বর্ণযুগের সংগীত অনুরাগীদের। অনেকের মতে এনাদের পরলোক গমনের সাথে সাথেই স্বর্ণযুগ সমাপ্তির পথে হাঁটছে।
তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস। বিমানবন্দর থেকে তাঁদেরকে সুসজ্জিত ট্যাবলোতে আউটরাম ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও কিংবদন্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে তাঁর মুম্বইয়ের আবাসনে। সেদিন আউটরাম ঘাটে লঞ্চে করে মধ্য গঙ্গায় বাবার অস্থি বিসর্জন দেন পুত্র।
গতকাল সকাল ন’টায় বিমানবন্দরে পৌঁছে বাপ্পি পুত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমার ঠাকুরদাদা এবং ঠাকুমা দুজনেরই শেষকৃত্য হয় কলকাতায় আর তাই আমরাও বাবাকে নিয়ে এসেছি কলকাতায়। বাবার বরাবরই কলকাতার প্রতি টান ছিল। তিনি নিজেকে বাঙালি বলে গর্ববোধ করতেন। বাবা ছাড়া এই প্রথম কলকাতায় এলাম ভাবতেই অবাক লাগছে।”
কান্নায় ভেঙে পড়েন বাপ্পি লাহিড়ীর স্ত্রী। অশ্রুসিক্ত নয়নে তাঁর স্বামীকে শেষ বিদায় জানান তিনি। বলেন,”এই টুকুই তো সম্বল ছিল, এরপর তো উনি পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন।” তাঁদের এই পারিবারিক প্রথা নিজ দায়িত্বে তত্ত্বাবধান করেন মন্ত্রী সুজিত বোস। তিনি জানান মৃত্যুর দিন পনেরো আগে পর্যন্ত বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ফোনে তাঁর যোগাযোগ হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সামগ্রিক আয়োজনে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।