নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন শরীরের জন্য খুব ভালো। প্রতিদিন সকালে উঠে এক টুকরো হলুদ আখের গুড়ের সঙ্গে খান কিংবা সকালে উঠে হলুদ দেওয়া চা পান করুন।
হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা খেলে শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকে। খাদ্যনালীকে সুস্থ রাখে। শরীরকে টক্সিনমুক্ত করে হলুদ।
সর্দি কাশি হলে প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় দুধের মধ্যে কাঁচা হলুদ বেটে নিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে খেয়ে নিন। সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করে দুধ হলুদ।
হাড়ের ক্ষয় দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। মহিলারা ক্রমাগত হাড়ের ক্ষয় রোগে ভুগতে থাকেন, তাই তারা নিয়মিত এক টুকরো কাঁচা হলুদ খান।
ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন এক টুকরো করে কাঁচা হলুদ খান। কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ইনসুলিনকে নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
বয়স কমাতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদ বেটে ত্বকে লাগান। এছাড়াও প্রতিদিন যদি কাঁচা হলুদ খান তাহলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে এবং ত্বকের বয়স ধরে রাখে।
ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন এই যৌগ উপাদান ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে।
দাঁত শক্ত পোক্ত করতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। হলুদ এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতকে জীবাণুমুক্ত করে। কাঁচা হলুদ খাওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিন টুথপেস্ট এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা কাঁচা হলুদ বেটে যদি দাঁতের উপর ঘষতে পারেন, তাহলে দাঁতের হলুদ দাগ একেবারে দূর হয়ে যায়।
থাইরয়েড এর হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। যারা থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত কাঁচা হলুদ খান।
মাসিকের সময় যে সমস্ত মেয়েরা প্রচন্ড তল পেটের যন্ত্রনায় ভোগেন তারা যদি প্রতিদিন নিয়মিত কাঁচা হলুদ খান তাহলে ব্যথা কমে যাবে।
মাথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। যারা বহুদিন ধরে মাইগ্রেন বা সাইনাসের সমস্যায় ভুগছেন তারা কাঁচা হলুদ খান।