শীতকালে প্রতিদিন পালং শাক খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
পালংশাক অতি প্রয়োজনীয় এবং সুস্বাদু খাবার। শীতকালে খুব সহজেই বাজারে পালং শাক পাওয়া যায়। ৫ টাকায় এক আঁটি পালং শাক পাওয়া যায় এমন দিনও আসে। তাই গোটা শীতকাল জুড়ে পালং শাক। পালং দিয়ে চচ্চড়ি কিংবা পালং এর ঝোল অথবা পালংশাক সেদ্ধ করে কিংবা কেউ যদি পালনের জুস খেতে পারেন তাও ভাল। প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পালংয়ের সেদ্ধ করা জল খান। এতেও অনেক উপকার পাবেন। জেনে নিন পালং শাকের দশটি উপকারিতা –
১) পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এই খনিজটি শরীরে সোডিয়াম বা লবণের মাত্রাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। যা প্রত্যেকের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই যারা সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাবে ভুগছেন তারা পালং শাক।
২) চুল ভালো রাখে পালং শাক। প্রতিদিন সীমিত পরিমাণে পালং শাক খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের নানা সমস্যার হাত থেকে সমাধান পাবেন।
৩) মেয়েদের মাসিকের সমস্যা সমাধান করে পালং শাক। যে সমস্ত মেয়েরা ঋতুস্রাবের সময় প্রচণ্ড ব্যথায় ভোগেন তারা শীতকালে প্রতিদিন পালং শাক খেলে ঋতুজনিত যেকোন সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবেন।
৪) পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই শিশুদের বৃদ্ধি সময় পালংশাক খাওয়াতে পারেন।
৫) চোখের জন্য ভীষণ উপকারী পালংশাক। নিয়মিত পালং শাক খেলে যারা দৃষ্টি শক্তির অভাবে ভুগছেন তাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
৬) ত্বকের চুলকানি, খুজলি এই সমস্ত কিছু থেকে মুক্তি দেবে পালংশাক। প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণে পালংশাক খান। ত্বক সুন্দর এবং সুস্থ হয়ে উঠবে।
৭) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে পালং শাক। বিশেষত যারা বহুদিন ধরে প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন তাদের জন্য উপযুক্ত পালং শাক।
৮) কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে পালংশাক। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পালং শাক খেলে কিডনিতে পাথর থাকলে তা বেরিয়ে যায়।
৯) রক্তাল্পতায় খেতে পারেন পালং শাক। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি। এটি হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
১০) বহুদিন ধরে যারা মাইগ্রেন এবং মাথাব্যথার যন্ত্রনায় ভুগছেন তারা শীতকালে প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণে পালংশাক খান। মাইগ্রেন এর হাত থেকে রেহাই পাবেন।