Benefits of Egg: শীতেও শরীর থাকবে গরম, প্রতিদিন ডিম খেলেই কাছে ঘেঁষবে না এইসব রোগবালাই
আশ মিটিয়ে খাওয়া দাওয়ার জন্য শীতকালের (Winter) বিকল্প কিছু হয় না। শীতকাল এক দিকে যেমন উপভোগ্য, তেমনি আবার বেশ বেদনাদায়কও। কারণ এই সময় কিছু না কিছু শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকে অনেকের। ঠাণ্ডায় সর্দি কাশি থেকে শুরু করে গা হাত, পা ব্যথার মতো সমস্যায় ভোগেন বেশিরভাগ মানুষ। আবার যাদের শ্বাসকষ্ট বা অ্যাস্থমার সমস্যা রয়েছে তাদের শীতকালেই বাড়ে রোগের প্রকোপ। এই সমস্ত রোগের হাত থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে ডিম (Egg)।
সুপারফুডের তালিকায় অন্যতম হল ডিম। হাই প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস হল ডিম, যা শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। ডিমে রয়েছে সেলেনিয়াম, যা শহরের জন্য খুব উপকার সাধন করে। নিয়মিত ডিম খেলে শীতকালে শুষ্ক, ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। ঠাণ্ডায় ত্বকের ফেটে যাওয়া শুষ্ক ভাব দূর করতে পারে ডিম। এক একটি ডিম থেকে প্রায় ২৭-১২৮ সেলেনিয়াম পাওয়া যায়।
যারা কোলেস্টেরলের সমস্যা ভুগছেন, তাদের জন্য ডিম খাওয়া খুব উপকারী। এতে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলয় প্রবেশ করে। হাই প্রোটিনের পাশাপাশি ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬, বি ১২, ফসফেট, কোলেন এর মতো পুষ্টিগুণ যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে চোখের ছানি পড়ার সমস্যা এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এর মতো সমস্যাকে দূরে রাখে। ডিমে ভিটামিন ডি রয়েছে যা শীতকালে সাধারণ সর্দি কাশির ধাত কমিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
নিয়মিত ডিম খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরাও। কিন্তু প্রতিদিন কটা ডিম খাওয়া যেতে পারে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া রয়েছে। ডিমে রয়েছে হাই প্রোটিন এবং ফ্যাট। তাই তারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের নিয়মিত ডিম খাওয়া জরুরি। আবার অতিরিক্ত ডিম খেলে শরীর বেশি গরম হয়ে যেতে পারে। তাই দিনে দুটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর বেশি এক দিনে না খাওয়াই ভালো।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।