‘সারেগামাপা’র মঞ্চে বাঙালির জয়জয়কার, শেষ অবধি কার হাতে উঠল বিজয়ীর ট্রফি!
সর্বভারতীয় সঙ্গীত জগতে সবসময় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পীদের জয়গান দেখা যায়। বলিউডে অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল কিংবা মোনালি ঠাকুর অথবা ধ্রুপদী সঙ্গীতের দুনিয়ায় অজয়কন্যা কৌশিকী চক্রবর্তী। সঙ্গীতজগৎ জুড়ে বাঙালি গায়ক-গায়িকাদের বরাবর জয়জয়কার দেখা যায়। গতকাল আরও একবার এই চিত্রের পুনরাবৃত্তি দেখা গেল।
এমনিতেই হিন্দি সারেগামাপা এইবারে বাঙালি প্রতিযোগীদের নিয়ে ভরপুর। তারই মাঝে ঘটে গেল একটি আনন্দের ঘটনা। যা নিয়ে গর্ব করতে পারেন প্রতিটি বাঙালি এবং প্রত্যেকটি বঙ্গবাসী। দেশের অন্যতম বৃহৎ মিউজিক রিয়ালিটি শো ‘সারেগামাপা’-র গ্র্যান্ড ফিনালে গতকাল সম্প্রচারিত হয়। আর সেখানেই বিজয়ীর তকমা ছিনিয়ে নিয়েছেন বাংলার মেয়ে নীলাঞ্জনা রায়। দ্বিতীয় স্থানেও বাংলার জয়জয়কার। টানটান লড়াইয়ে প্রথম স্থান অর্জন করতে না পারলেও স্বমহিমায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বাংলার মেয়ে রাজশ্রী বাগ।
View this post on Instagram
তবে বাংলা সারেগামাপা থেকে হিন্দি সারেগামাপাতে নাম লেখানো প্রতিযোগীরা বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। সেরা তিনে নেই বাংলার স্নিগ্ধজিৎ এবং অনন্যা। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শরদ শর্মা। গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে নীলাঞ্জনার গান শুনে মুগ্ধ বিচারকেরা। বিশাল দাদলানি প্রশংসায় ভরিয়ে দেন নীলাঞ্জনাকে।
সারেগামাপার মত সর্বভারতীয় রিয়েলিটি শোতে বিজয়ী হয়ে উচ্ছ্বসিত নীলাঞ্জনা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন মেয়ে একদিন সারেগামাপা জিতে বাংলা নাম গোটা ভারতে ছড়াক এই স্বপ্ন ছিল তাঁর মা-বাবার। তাই তাঁর থেকেও বেশি খুশি এই জয়ে তাঁর মা-বাবা। উত্তরবঙ্গের মেয়ে নীলাঞ্জনা মা বাবার স্বপ্নপূরণ করতে পেরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। নীলাঞ্জনা ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রী। সামনেই তাঁর বোর্ড পরীক্ষা তাই গানের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও এবার মনোযোগ দিতে চান তিনি।
গত বছরের শেষের দিকে শুরু হয় সারেগামাপার এই সিজন। এইবারের সবচেয়ে বড় চমক ছিল ছয় বাঙালি প্রতিযোগী- স্নিগ্ধজিৎ ভোমিক, নীলাঞ্জনা রায়, কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়, দীপায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনন্যা চক্রবর্তী ও রাজশ্রী বাগ। কিঞ্জল এবং দীপায়নকে ফিনালের বেশ কিছু আগেই বাদ পড়ে যেতে হয়। অনন্যার লোকগান বারবার যে বিচারকদের মুগ্ধ করেছে তা বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিওর মধ্যে দিয়েই উঠে আসত। ফিনালের দৌড়ে শেষ পর্যন্ত থাকেন চারজন। এর মধ্যে থেকে দুজনই ছিনিয়ে নিয়েছেন বিজয়ীদের তকমা। আর এতেই প্রচন্ড খুশি সমস্ত বাঙালি সঙ্গীতপ্রেমীরা।