Tv Serial: হয়ে গেল শেষ শুটিং, ছয় মাসের মাথায় বন্ধ জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক
লকডাউন পরবর্তী সময়ে বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে প্রচুর পরিবর্তন। তার মধ্যে অন্যতম হল টিআরপি জনিত কারণ। ভালো কন্টেন্ট হওয়া সত্ত্বেও এক বছর কাটতে না কাটতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বহু বাংলা ধারাবাহিক। অপরদিকে কিছু ধারাবাহিক রয়েছে যেগুলির চিত্রনাট্য সর্বদা সমালোচিত হলেও টিআরপি বেশি হওয়ার কারণে সম্প্রচারিত হচ্ছে। এক বছর না কাটতেই বন্ধ হয়ে গেল জি বাংলার ধারাবাহিক ‘পিলু’। এই ধারাবাহিকের শেষ সম্প্রচার হতে চলেছে আগামী 13ই নভেম্বর। এবার শেষের মুখে দর্শকদের প্রিয় ধারাবাহিক ‘লালকুঠি’।
বহুদিন ধরেই ‘লালকুঠি’ বন্ধ হওয়ার গুঞ্জন ভাসছিল টেলিপাড়ায়। কিন্তু এই ধারাবাহিকের নায়ক রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunodoy Banerjee) তা উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘লালকুঠি’ বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা তাঁরা শোনেননি। বরং আগামী দিনে কিভাবে কাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে চ্যানেলের সাথে প্রযোজকের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু, 8 ই নভেম্বর, মঙ্গলবার সব জল্পনাকে সত্যি করে হয়ে গেল ‘লালকুঠি’-র শেষ দিনের শুটিং। সম্ভবতঃ 27 শে নভেম্বর হবে এই ধারাবাহিকের শেষ সম্প্রচার। ‘লালকুঠি’-র মাধ্যমে ছোট পর্দায় ফিরেছিলেন দর্শকদের প্রিয় জুটি রাহুল ও রুকমা (Rooqma Ray)। এর আগে স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘দেশের মাটি’-তে অভিনয় করেছিলেন এই জুটি।
কিন্তু রাহুল ও রুকমার ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যা অগুণতি হওয়া সত্ত্বেও চলতি বছরের 2 রা মে শুরু হওয়া ‘লালকুঠি’ কেন মাত্র ছয় মাসের মাথায় যাত্রাপথে ইতি টানল, উঠেছে এই প্রশ্ন। প্রকৃতপক্ষে, ‘লালকুঠি’ ছিল ভিন্ন ধরেন সিরিয়াল। অতিপ্রাকৃত ঘটনা তুলে ধরা হয়েছিল এর প্রতিটি পরতে। ফলে অনেকেই মনে করছেন, দর্শকদের একাংশ হয়তো এই ধরনের ধারাবাহিক পছন্দ করতে পারছিলেন না। কিন্তু দর্শকরা তো বরাবর চেয়েছিলেন নতুন ধরনের চিত্রনাট্য, নতুন কাহিনী।
বর্তমানে প্রায় সবকটি বাংলা ধারাবাহিকে পরকীয়া ও চিত্রনাট্যের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ‘লালকুঠি’ ছিল এক ঝলক ঠান্ডা হাওয়া। তাহলে শুধুমাত্র টিআরপির কারণে একটুও অপেক্ষা না করে একটি ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি হঠকারিতা নয়? এইভাবে ভালো কন্টেন্টকে এড়িয়ে যেতে যেতে বাংলা টেলিভিশন থেকে দর্শকদের অধিকাংশ মুখ ফিরিয়ে নেবেন না তো?
View this post on Instagram