Hoop Food

ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ তিল পটলেশ্বরী রেসিপি

তিল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। যারা ডায়াবেটিক পেশেন্ট আছেন তারা অবশ্যই প্রতিদিন একটু করে তিল বাটা ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। অথবা পোস্তোর সঙ্গে সামান্য তিল মিশিয়ে সেটি রান্না করতে পারেন। কিংবা তিল দিয়ে নানান রকম সুস্বাদু রান্না করতে পারেন তিল খাওয়া ত্বকের জন্য এবং চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই প্রতিদিন একটু করে তিল বাটা খেতে পারেন।

আজকে আমাদের রেসিপি আরেকটি অন্যতম অসাধারণ উপাদান হলো পটল। পটল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো। রক্তকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে পটল। এর ফলে ত্বক ভীষণ ভালো থাকে। কোলেস্টেরল ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে পটল। পটল খাওয়া ভীষণ ভাল। অতিরিক্ত জ্বর জারি হলে অবশ্যই পটল খেতে পারেন। ত্বকের জন্য উপকারী। যারা ডায়েট করছেন, তারা পটলের ঝোল খেতে পারেন এতে খিদে কমবে, পেট ভার থাকবে কিন্তু গায়ের মাংস লাগবে না।

ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য বা বাড়িতে কোন অতিথি এলে নিরামিষের দিনের অবশ্যই এই স্পেশাল রেসিপি রান্না করতে পারেন স্পেশাল রেসিপিটির নাম হল তিল পটলেশ্বরী। রেসিপিটি খেতে যেমন সুন্দর হয়, ঠিক তেমনি রেসিপিটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।

উপকরণ -»
তিল বাটা ৩ টেবিল চামচ
পটল পাঁচটি
সরষের তেল ৫ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ চা চামচ
টমেটো বাটা ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ
হলুদ ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়া সামান্য
নুন মিষ্টি স্বাদ মত
টকদই ১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি ১ কাপ

প্রণালী -»
প্রথমেই পটল গুলিকে মাঝখান থেকে কেটে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তাতে আদা বাটা, টমেটো বাটা সমস্ত মশলা এবং নুন, মিষ্টি স্বাদমতো তিল বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে সামান্য ভাপিয়ে রাখা পটল দিয়ে দিতে হবে। অনেকে রান্না করার আগে পটল সামান্য ভেজে নেন, তবে পটল সামান্য ভেজে নিলে পটল শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই পটলকে সামান্য গরম জলে অল্প একটু নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে পারেন। তবে খুব বেশী সেদ্ধ করা যাবে না, এতে পটল গলে যেতে পারে। সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকা খুলে টক দই দিয়ে আবারো বেশ নাড়াচাড়া করতে হবে। মাখোমাখো হয়ে গেলে উপরে ধনেপাতা কুচি এবং গরম মশলার গুঁড়া ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নিরামিষ তিল পটলেশ্বরী।

Related Articles