whatsapp channel

ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ কুমড়োর মালাইকারি রেসিপি

কুমড়ো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন কুমড়ো একটু সেদ্ধ করেও খেতে পারেন, তাহলে আপনার চোখ খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। বিশেষ…

Avatar

HoopHaap Digital Media

কুমড়ো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন কুমড়ো একটু সেদ্ধ করেও খেতে পারেন, তাহলে আপনার চোখ খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। বিশেষ করে বর্তমানে অনলাইন ক্লাস চলার জন্য বাচ্চাদের অনেক বেশি ফোন বা ল্যাপটপের সামনে বসতে হচ্ছে। তাই বাচ্চাদের অবশ্য করে প্রতিদিন একটু করে কুমড়ো সেদ্ধ খাওয়াতে পারেন।

যারা ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন, অকালে চুল পড়ে যাচ্ছে, তারা অবশ্যই কুমড়ো খান। কুমড়োর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগাবে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় কুমড়ো সেদ্ধ দিয়ে ভাত অথবা কুমড়োর সেদ্ধ দিয়ে রুটি বা কুমড়োর কোন সবজির তরকারি দিয়ে রুটি খেয়ে শুয়ে পড়ুন। এরকম তিন-চারদিন করলেই দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকটা কমে গেছে।

কুমড়োর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে। যারা ডায়েট কন্ট্রল করছেন তারা অবশ্যই কুমড়োর সুপ করে খেতে পারেন। তাই কুমড়ো দিয়ে রইলো আজ আমাদের রেসিপি কুমড়োর মালাইকারি চিংড়ি মাছের মালাইকারি তো সকলেই খেয়েছেন কিন্তু যারা নিরামিষ আহার করেন তারা অবশ্যই এই রান্নাটি একবার বাড়িতে করে দেখতে পারেন, বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন হোক কিংবা নিজেদের বদলাতে অবশ্যই এই রান্নাটি আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে।

উপকরণ-
কুমড়ো ৫০০ গ্রাম
কোরানো নারকেল ৩ টেবিল চামচ
নারকেলের দুধ ১ কাপ
কাজু বাটা ২ টেবিল চামচ
পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ
চারমগজ বাটা ২ টেবিল চামচ
কিশমিশ বাটা ১ টেবিল চামচ
গোটা কিশমিশ পরিমাণমতো
গোটা গোলমরিচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, শুকনো লঙ্কা
লঙ্কা বাটা স্বাদমতো, গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো, নুন, মিষ্টি স্বাদ মত
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
সাদা তেল ১ কাপ

প্রণালী-
কুমড়োগুলিকে ভালো করে ডুমো ডুমো করে কেটে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে তাতে গোটা গোলমরিচ গুঁড়ো, এলাচ, দারচিনি, শুকনো লংকা, আদা বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। সামান্য হলুদ গুঁড়ো করবে। এরপর এরমধ্যে কাজুবাটা, পোস্ত বাটা, চারমগজ বাটা এবং কিশমিশ বাটা দিয়ে দিতে হবে। নারকেলের দুধ দিয়ে দিতে হবে। এরপর এরমধ্যে ডুমো ডুমো করে কেটে রাখা কুমড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়াতে হবে। উষ্ণ গরম জল দিয়ে খানিকক্ষণের জন্য ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকা খুলে স্বাদমতো গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন, মিষ্টি এবং গোটা কিশমিশ, কোরানো নারকেল দিয়ে বেশ মাখোমাখো হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘নিরামিষ কুমড়োর মালাইকারি’।

ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ কুমড়োর মালাইকারি রেসিপি

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media