whatsapp channel

Lifestyle: শীতের মরশুমে হ্যান্ডব্যাগে থাকুক ২টো লবঙ্গ, সর্দি-কাশি জব্দ হবে নিঃশব্দে

ঝাঁজ কি শুধু সর্ষের তেল কিংবা শুকনো লঙ্কায় আছে? আছে লবঙ্গ'র মধ্যেও। লবঙ্গ ফুলে যেই ঝাঁজ আছে সেই ঝাঁজ একবার জিভে লাগলেই টনক নড়ে যায়। আর সেই জন্যেই গরম মশলার…

Avatar

Susmita Kundu

Advertisements
Advertisements

ঝাঁজ কি শুধু সর্ষের তেল কিংবা শুকনো লঙ্কায় আছে? আছে লবঙ্গ’র মধ্যেও। লবঙ্গ ফুলে যেই ঝাঁজ আছে সেই ঝাঁজ একবার জিভে লাগলেই টনক নড়ে যায়। আর সেই জন্যেই গরম মশলার এক উল্লেখযোগ্য উপাদান হল লবঙ্গ। আজকের প্রতিবেদনের মধ্যে দিয়ে জানবো কিভাবে লবঙ্গ আমাদের রক্ষা করতে পারে সর্দি কাশি থেকে (Benifits Of cloves in cough and cold) ।

Advertisements

সর্দি কাশির জন্য দুর্দান্ত লবঙ্গ – এটি একটি মশলা। প্রায় প্রত্যেক রান্নাঘরে থাকে। এবার থেকে আপনি একে আপনার হ্যান্ড ব্যাগে কাগজে মুড়ে রাখতে পারেন বা ছোট্ট কোনো কৌটোয় সংরক্ষণ করতে পারেন। যাইহোক, আমরা জানি দাঁতে ব্যথা হলে লবঙ্গ চিবিয়ে নিলে কিছুটা উপশম হয়,আর সেই জন্যেই টুথ পেস্টের মধ্যে লবঙ্গ থাকে। কিন্তু, জানেন কি এই লবঙ্গ শুধু দাঁতে ব্যথা বা বাতের ব্যথা উপশমের জন্য নয়, সর্দি কাশিতে দারুন কাজ করে এটা। লবঙ্গর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এটি তাই রক্তেরশ্বেত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। এবং, এর কারণে অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়ে যায়। শীত কালে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে সর্দি কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, আর সেই জন্যেই এই সময় লেবু, লবঙ্গ জাতীয় খাবার রোজকার ডায়েট রাখা উচিত।

Advertisements

যেভাবে খাবেন লবঙ্গ সর্দি কাশি হলে – যদি সর্দি কাশি হয় তাহলে ঘরোয়া উপায়ে সমাধানের জন্য মুখে একটা করে লবঙ্গ রাখুন। চিবিয়ে রস খেলে কাশি কমবে। গলা খুসখুস করলে উপশম পাওয়া যায়। এছাড়া, গরম জলে পাঁচ মিনিট লবঙ্গ ফুটিয়ে সেই জল পান করলে, গলার আরাম হয়। সম্ভব হলে লবঙ্গ মধুতে ডুবিয়ে নিয়ে মুখে রাখুন।

Advertisements

সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত লবঙ্গ ব্যবহারের ক্ষেত্রে। হ্যাঁ, অবশ্যই বেশি লবঙ্গ খাওয়া ভালো না, এতে বিষক্রিয়া হতে পারে, শরীর অত্যধিক গরম হয়ে যেতে পারে। বাচ্চাদের লবঙ্গ না দেওয়া ভালো, এক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত। বড়দের ক্ষেত্রে, সর্দি কাশি হলে সারাদিন ২ টো লবঙ্গ খেতে পারেন।এবং, অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলা উচিত বেশি বাড়াবাড়ি হলে, নয়তো ঘরোয়া উপায়ে সমাধান সম্ভব।

Advertisements

Disclaimer: এই প্রতিবেদন গবেষণা ভিত্তিক। যেকোনো অসুখ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ বাধ্যতামূলক।

whatsapp logo
Advertisements