Advertisements

Hypertension: রোজকার জীবনযাত্রা ডেকে আনতে পারে হার্ট অ্যাটাক! সময় থাকতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

Nirajana Nag

Nirajana Nag

Follow

আধুনিক জীবন যাপন মানুষকে ক্রমেই যন্ত্রে পরিণত করছে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস অস্বাস্থ্যকর রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে অধিকাংশ মানুষ। অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি ঘুমের সময়ের ঠিক না থাকা এবং কাজ এর চাপে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শরীরে বাসা বাঁধছে ভয়ঙ্কর রোগ। হাইপারটেনশন (Hypertension) বা উচ্চ রক্তচাপ মানুষের জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠছে। কিন্তু কি এই হাইপারটেনশন রোগ? এতে ধমনীতে রক্তের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হৃদপিন্ডের কাজ বেড়ে যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে।

দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা শরীরে বয়ে বেড়ালে তা আরো বড়সড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কিডনি ফেলিওরের মতো মারাত্মক সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। তাই সময় থাকতেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার উপায় খোঁজা দরকার। জানলে অবাক হবেন, ওষুধ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার প্রতিকার করা যেতে পারে। এই প্রতিবেদনেই রইল এমন কিছু প্রাকৃতিক টোটকার সন্ধান।

হাতে ম্যাসাজ করলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে। ল্যাভেন্ডার, গোলাপের মতো সুগন্ধি যুক্ত কোনো হ্যান্ড ক্রিম দিয়ে হাতের তালুতে ম্যাসাজ করলে মানসিক চাপ কমে অনেকাংশে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন কোনো মানুষের হাতের তালু, কবজি এবং আঙুলে আলতো করে ম্যাসাজ করতে হবে। যোগব্যায়াম করা শরীর স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী তা এতদিনে অনেকেই জেনে গিয়েছেন। প্রতিদিন একটা সময় বের করে যোগব্যায়াম করলে উচ্চ রক্তচাপ কমে। শরীরে আরো অনেক সমস্যা দূর হয়। দিনে অন্তত একবার একটি পাত্রে ঈষদুষ্ণ গরম জল নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল এবং সামান্য রক সল্ট মিশিয়ে তার মধ্যে পা ডুবিয়ে বসুন। এতে মনের চাপ কমে।

ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা বালিশে ছিটিয়ে রাতে ঘুমালেও মানসিক উদ্বেগ কমে, ঘুম ভালো হয়। মাথার ম্যাসাজ মনের চাপ কমায়, মানসিক ক্লান্তি দূর করে। হালকা গরম তেল নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করলে চিন্তা দূর হওয়ার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও কমে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে খাবারে নুনের পরিমাণ কমাতে হবে। রাতের খাবারের পরপরই ঘুমাবেন না। এর মাঝে অন্তত তিন ঘন্টার ব্যবধান রাখতে হবে। মনকে আনন্দে রাখা জরুরি। কম আলোতে বসা এড়িয়ে চলুন। পছন্দের গান শোনা বা ঘুরতে যাওয়ার মতো হবি বেছে নিতে পারেন। তবে শরীরে ক্ষতিকারক জিনিস ঢুকলে এসব কিছু করেই লাভ হবে না। বিকেল পাঁচটার পরে মদ্যপান এবং ধূমপানের মতো বদভ্যাস থেকে দূরে থাকতে হবে।

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখা...

Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow