Healthy Benefits Of Raisins: প্রতিদিন কিসমিস খেলে আপনাকে ছুঁতেও পারবেনা যেসব রোগ
শুকনো ফলের মধ্যে কিসমিস অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিসমিস খেতেও যেমন সুস্বাদু সেরকম এর উপকারিতাও অনেক। কিসমিসের উপকারিতা বলতে শুরু করলে তা শেষ করা যাবে না। শুধুমাত্র শুকনো কিসমিসই নয় কিসমিস ভেজানো জলও শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ লবণ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনলস্ এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে। শক্তি জোগানের ক্ষেত্রে কিসমিস অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া রক্ত উৎপাদনকারী হিসেবেও কিসমিসের গুণ অনস্বীকার্য।
কিসমিসের কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
১. কোষ্ঠ্যকাঠিন্য নিরাময় করতে: খাবার ঠিকঠাক মতো হজম না হলে শরীরে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা সহজে খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
২. ওজন বাড়াতে সহায়তা করে: আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত কম হয় এবং আপনি যদি ঠিকঠাক ওজন চান সেক্ষেত্রে রোজকার খাবারের সঙ্গে কিসমিস গ্রহণ করলে খুব সহজেই আপনি সঠিক ওজন পেয়ে যেতে পারেন।
৩. ভালো ঘুম হওয়ার জন্য: কিসমিসে উপস্থিত আয়রন ভালোভাবে ঘুমে সাহায্য করে। ঠিকঠাক ঘুম না হলে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া ঘুমের ঘাটতি হলে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান পাওয়া যায় না। পাশাপাশি কিসমিসের মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং বিপাকীয় ক্রিয়া উন্নত করে।
৪. হাড়ের স্বাস্থ্য বর্ধন: কিসমিসের মধ্যে বোরন নামক এক ধরনের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায় যা হাড়ের গঠনে সহায়তা করে। এছাড়া কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। কিসমিস শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬. ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে: শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোশের বৃদ্ধিতে কিছু ফ্রি-র্যাডিকল সহায়তা করে যেগুলি শরীরের মধ্যে ভেসে বেড়ায়। রোজকার খাবারে কিসমিস খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কিসমিসে ক্যাটেচিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের ভেসে বেড়ানো ফ্রি-র্যাডিকলগুলিকে ধ্বংস করে।