Vande Bharat Express: যাত্রা শুরুর আগেই বিতর্কে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া স্টেশনেই ঘটল বিশৃঙ্খলা
ভারতের সফলতম প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম হল ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ (Vande Bharat Express)। ট্রেনের গতিকে বাড়িয়ে তুলতে এক সরকারি কর্মচারীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই অত্যাধুনিক ট্রেন এখন টেক্কা দিচ্ছে জাপানের বিশ্ববিখ্যাত বুলেট ট্রেনকেও। দেশের একাধিক জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে এই দেশীয় দ্রুতগামী ট্রেনের চলাচল। আর এবার সেই বন্দে ভারতের হুইসেল শুনতে পাবে বাংলাও। নতুন বছরের আগেই রাজ্যকে বড়সড় উপহার দিতে চলেছে কেন্দ্র। আর এই পরিষেবা উদ্বোধনের আগেই হাওড়া স্টেশনে যা ঘটল, তাতে প্রশ্ন উঠছে- বন্দে ভারত কি সাধারণ মানুষের জন্য নাকি বিজেপি কর্মীদের জন্য? কি এমন ঘটল, যাতে রেলকে নিয়েও তৈরি হল রাজনৈতিক তর্জা? দেখে নিন।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। হাওড়া থেকে নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা দেরিতে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছেছে এই দ্রুতগামী ট্রেন। আর এই সাফল্যের পরেই শুরু হয়েছে বাঙালির কাউন্টডাউন। শৈলশহর দার্জিলিংয়ে কম সময়ে পৌঁছাতে আর মাত্র কয়েকঘন্টার অপেক্ষা। আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর হাওড়া স্টেশনের ২২ নং প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তত জেরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সম্পূর্ন স্টেশন চত্বরকে। আর এর মাঝেই ঘটে গেল এই ঘটনা।
এদিন একদল অতি উৎসাহী বিজেপি কর্মী ট্রেনের উপর উঠে দাপাদাপি করল। সঙ্গে চলল হইহুল্লোড়। প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির জয়জয়কার করতে দেখা গেল তাদের। এই ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় হাওড়া স্টেশন চত্বরে। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই তৈরি হল বিতর্কের বলয়। কারণ এই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ভেদ করে কিভাবে তারা সেখানে পৌঁছাল, এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য রয়েছে এসপিজি (SPG), সেখানে এই ঘটনা নিতান্তই উদ্বেগজনক বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। এই ট্রেন কি সাধারণ মানুষের জন্য? এই প্রশ্নও উঠছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর হাওড়া থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য চালু হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা। সপ্তাহে ৫ দিন চলবে এই ট্রেন। হাওড়া স্টেশন থেকে ভোর ৫:৩০-এ ছাড়বে এই ট্রেন, নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছাবে দুপুর ১:৩০ নাগাদ। অন্যদিকে দুপুর ২:৩০-এ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে ট্রেনটি হাওড়া পৌঁছাবে রাত ১০:৩০-এ।