শীতকাল মানে যেমন হুহু করে ঠান্ডায় কাঁপা, তেমনই এই শীতে খাবার পাতে কোনো আপোষ করতে চায়না বাঙালি। আর তেমনটা করতেও হয়না। কারণ শীতকালে যেমন বাজারে আসে বাহারি ফল, তেমনই বাজারে অনেকরকম সবজির আমদানি ঘটে এই শীতকলেই। বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক ও গাজর এখন সারাবছর পাওয়া গেলেও এগুলি মূলত শীতের সবজি। এছাড়াও এই সময় মুলো, শিম ও মটরশুঁটি পাওয়া যায় ব্যাপকভাবে। তাই সবজি খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের কাছে শীতকাল যেন স্বর্গসুখ বয়ে আনে।
তবে মূলত শীতের সবজি হলেও গাজর আজকাল সব ঋতুতেই বাজারে দেখতে পাওয়া যায়। আর এই সবজি কিন্তু মহাঔষুধির কাজ করে। কারণ গাজরে থাকা না উপাদান আমাদের শরীরের নানা গঠনে যেমন সাহায্য করে, তেমনই আমাদের শরীর থেকে নানা রোগকে রাখে কয়েকশো যোজন দূরে। এই প্রতিবেদনে আলোচনা করবো গাজরের এমনই কয়েকটি উপকারী গুন সম্পর্কে।
● চোখ ভালো রাখতে: চোখের নানা সমস্যা দূর করা থেকে শুরু করে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে গাজর। কারণ গাজরে থাকা বেটা-ক্যারোটিন নামক এক বিশেষ উপাদান আমাদের শরীরে পৌঁছালেই তা শরীরে ‘ভিটামিন-এ’ তৈরিতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
● রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: গাজরে থাকা নানা খনিজ ও ভিটামিন আমাদের শরীর থেকে জীবাণুকে দূরে রাখে। তবে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস থাকে। এর ফলে আমাদের শরীরে হাড় ও স্নায়ু থাকে সতেজ। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় মানবদেহে।
● বার্ধক্য রোধে: শরীর থেকে বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে গাজরের জুড়ি মেলা ভার। এই সবজিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে। তাতে প্রতিদিন একটি করে টাটকা গাজর কাঁচা খাওয়া বা জুস করে খাওয়া ব্যাপকভাবে উপকারী হবে।
● ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল কমাতে: আজকাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস মানুষের জন্য ব্যাপক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাজরে থাকা পটাশিয়াম এর পিছনে কাজ করে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে খেলহ হয়েছে। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।