Farming Idea: ছোট্ট জায়গায় এই গাছের চাষে বাম্পার লাভ, হাতে আসবে লাখ লাখ টাকা
গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন না অনেকেই। তাই এখন চাকরির পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো রোজগারের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। আর এক্ষেত্রে সাইড ইনকামের দুটি উপায় আছে- ব্যবসা বা চাষাবাদ। এবার ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অনেকের মনেই অনেক ভীতি কাজ করে। তাই এই অবস্থায় বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সামান্য বিনিয়োগে লাভজনক কোনো চাষ করলেই কিন্তু ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
ভারতের আয়ুর্বেদ শাস্ত্র এখন গোটা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ভারতে চিকিৎসা হয়। কনেকেই আবার ভেষজ উদ্ভিদের পাতা বা ফল খেয়ে বাড়িতেই রোগ সরিয়ে নেন। তাই বাড়িতে ভেষজ কিছু উদ্ভিদের চাষ করা খুবই লাভজনক হতে পারে। কারণ আজকাল রাসায়নিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখে আয়ুর্বেদিক জিনিসের উপর ভরসা করেন কমবেশি সকলেই। আর ত্বকের ক্ষেত্রে তো অনেকেরই প্রথম পছন্দ আয়ুর্বেদিক জিনিস। এই প্রতিবেদনে এমনই একটি উদ্ভিদ চাষের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ত্বকের জন্য একটি অত্যধিক উপকারী গাছ হল এলোভেরা। বর্তমানে ভারতে এই গাছের চাহিদা বাড়ছে। এলোভেরা জেল দিয়ে যেমন বিভিন্ন ফেস ওয়াশ, ফেস ক্রিম, সাবান তৈরি হয়, তেমনই আবার অনেকে বাজার থেকে কাঁচা এলোভেরা কিনে এনেও ব্যবহার করেন। তাই সঠিকভাবে বিপণন করা গেলে এলোভেরা গাছ লাগানো লাভজনক হতে পারে। বাড়ির পাশের ছোট্ট ফাঁকা জায়গায় এই চাষ করা সম্ভব। শুধু সময়মতো জল দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারলেই এই চাষ একটি রোজগারের বিকল্প হতে পারে।
এবার দেখে নেওয়া যাক এই চাষের আয় ও ব্যয়ের হিসেব। এলোভেরা গাছের চারা কিনতে খরচ হতে পারে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। গাছ লাগানোর পর গাছে নানারকম সার দিতে হয়। এর জন্য সব মিলিয়ে খরচ হতে পারে প্রায় ৯ হাজার টাকা। এছাড়াও আরো নানাভাবে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এবার ৬০ হাজার টাকা যদি খরচ করে এই চাষ শুরু করতে পারেন, তাহলে বছরে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত রোজগার হবে।