whatsapp channel

Weather Report: শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, আজ বিকেলেই স্থলভাগে আছড়ে ‌পড়ার সম্ভাবনা

মৌসম ভবন ঘূর্ণিঝড় অশনির পূর্বাভাস জারি করতেই সতর্ক হয়ে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর বাহিনী। আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এই কদিন ধরে মজুত করা হয়েছে প্রচুর এনডিআরএফ। কোস্টাল গার্ডদেরও সবরকম…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Updated on:

মৌসম ভবন ঘূর্ণিঝড় অশনির পূর্বাভাস জারি করতেই সতর্ক হয়ে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর বাহিনী। আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এই কদিন ধরে মজুত করা হয়েছে প্রচুর এনডিআরএফ। কোস্টাল গার্ডদেরও সবরকম বিপর্যয় মোকাবিলার উদ্ধারকাজের জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রের ধারে কাছে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

এখনও ল্যান্ডফল হয়নি অশনির। কিন্তু ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে আরও বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হয়ে উঠছে অশনি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ঘনীভূত হবে এই নিম্নচাপ। যার ফলে আজ থেকেই আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বৃষ্টির দাপট শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। আজ বিকেলেই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। প্রসঙ্গত এটি এই বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়। এই নাম দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকা।

দক্ষিণ-পূর্ব আন্দামান সাগরের উপর যে নিম্নচাপ অবস্থান করছে তা আস্তে আস্তে উত্তরের দিকে ক্রমশ এগোচ্ছে এমনটাই জানিয়েছিল শনিবার মৌসম ভবন। এই নিম্নচাপটির গতিবেগ এখন প্রতি ঘন্টায় ১২ কিলোমিটার। আজ সকালে আবহাওয়াবিদরা জানান যে নিম্নচাপটি আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে নিম্নচাপটি দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। আবহাওয়া দপ্তর জানান আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করবে।

বিগত তিনদিন ধরে আন্দামানে পর্যটন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও মাছ ধরা এবং জাহাজ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। আগামী দুইদিন সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দপ্তর থেকে সরকারকে সকল রকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাসবাণী দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে সোমবার সকালে এই বঙ্গোপসাগরের তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ধীরে ধীরে তা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং আবহাওয়ার বড়সড় রদবদল না ঘটলে বিকেলের মধ্যেই স্থলভাগের আছড়ে পড়বে অশনি।

বাংলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কতটা পড়তে চলেছে? বাংলাতে এর কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তর দিকের জেলাগুলিতে অর্থাৎ কালিম্পং এবং কার্শিয়াং এ সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বঙ্গের তাপমাত্রা যে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে তা অনেকদিন আগেই স্পষ্ট করেছেন আবহাওয়াবিদরা। চলতি সপ্তাহে কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই এই রাজ্যে।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media