Debchandrima Singha Roy: ‘কাউকে ঠকাতে পারব না’, প্রেম ভাঙা নিয়ে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন দেবচন্দ্রিমা

Nirajana Nag

টলিপাড়ার প্রেম দু রকমের। কেউ ঢাকঢোল পিটিয়ে সকলকে জানিয়ে প্রেম করেন। কারোর আবার সবটাই থাকে আড়ালে। যদিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার জমানায় কোনো কিছুই লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়ের (Debchandrima Singha Roy) কথাই ধরা যাক। অভিনেতা সায়ন্ত মোদকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাটা কারোরই অজানা ছিল না। এমনকি একত্রে একটি ইউটিউব চ্যানেলও খুলেছিলেন দুজনে। কিন্তু অনুরাগীদের অবাক করে দিয়ে আলাদা হয়ে যান দেবচন্দ্রিমা এবং সায়ন্ত।

এদিকে তাঁদের বিচ্ছেদের পরপরই অভিনেতা রিজওয়ান রব্বানি শেখের সম্পর্কের গুঞ্জন তুঙ্গে ওঠে দেবচন্দ্রিমা। ‘সাঁঝের বাতি’ সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দুজনে। শোনা যায়, একসঙ্গে কাজ করতে করতেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম শুরু হয় তাঁদের। এমনকি এও শোনা গিয়েছিল, রিজওয়ানের দিকে ঝোঁকার জন্যই নাকি সায়ন্তর সঙ্গে সম্পর্কটা ভেঙে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ফটোশুটে একসঙ্গে দেখা মিলেছিল দেবচন্দ্রিমা রিজওয়ানের। অভিনেতার পরিবারের সঙ্গেও খুব ভালো সম্পর্ক ছিল নায়িকার। শুধু তাই নয়, এও শোনা গিয়েছিল যে তাঁরা নাকি একসঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন। যদিও নিজেদের সম্পর্কের কথা কখনোই স্বীকার করেননি তাঁরা।

পরবর্তীতে শোনা যায়, রিজওয়ানের সঙ্গেও নাকি দূরত্ব তৈরি হয়েছে দেবচন্দ্রিমার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রেম ভাঙা নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। তিনি স্বীকার করেন, অফিশিয়াল হোক বা আন অফিশিয়াল একাধিক প্রেম ভেঙেছে তাঁর। তাঁর কথায়, প্রেমে পড়লে তিনি খুব বিভ্রান্ত হয়ে যান। পাগল প্রেমী গোছের হয়ে ওঠেন। এর জন্য নিজের কাজের ক্ষতিও হয় বলে মনে করেন তিনি। তাছাড়া একটি সম্পর্কে দায়িত্বও কম নেই। শুধু নিজে ভালো থাকা নয়, অপর দিকের মানুষটার ভালো থাকারও দায়িত্ব নিতে হয়। সেটা যদি কোনো ভাবে তাঁর মনে হয় যে তিনি করতে পারছেন না, তাহলে তাঁর মাথায় অনেক চিন্তা ঘুরতে থাকে।

দেবচন্দ্রিমার স্পষ্ট কথা, তিনি কাজ ছেড়ে প্রেম করতে পারবেন না। তাই কাউকে ঠকাতেও পারবেন না। আগে প্রেম ভাঙলে খুব কান্নাকাটি করতেন দেবচন্দ্রিমা। এখনও তাঁর মনে হয়, অমুককে ছাড়া বাঁচবেন না। তবে নিজেকে তিনি সামলে নেন। কারণ তাঁর কাছে নিজেকে ভালো রাখা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তিনি ভালো থাকলে তাঁর মা-ও ভালো থাকবেন।

About Author

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই