Dilip Ghosh: সাংসদ পদও হাতছাড়া, গোহারা হেরে দলের দিকেই আঙুল তুললেন দিলীপ ঘোষ!
একেই বলে কারোর পৌষমাস তো কারো সর্বনাশ। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেশে আসন সংখ্যার নিরিখে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের অবস্থা রীতিমতো শোচনীয়। এমনকি জয়ের তালিকায় নাম তুলতে পারেননি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)। বর্ধমান দূর্গাপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে বিরাট ব্যবধানে হেরে কার্যত মুখ পুড়িয়েছেন পদ্ম শিবিরের এই বহু পুরনো সদস্য। আর এই হারের সঙ্গে সঙ্গে হাতছাড়া হয়েছে তাঁর একমাত্র সম্বল সাংসদ তকমাও।
বিপুল ভোটে হার দিলীপের
বিজেপি শিবিরের অন্যতম পুরনো সদস্য দিলীপ ঘোষ। আবার তাঁকে নিয়েই একাধিক বার মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্কও। পেয়েছেন তার ফলও। একের পর এক পদ হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। কিন্তু রাজনৈতিক জগতে সব থেকে বেশি শোরগোল পড়ে যখন আদি গড় মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষকে দেওয়া হয় বর্ধমান দূর্গাপুর কেন্দ্র। যদিও এই নতুন কেন্দ্রেও জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। সেই আত্মবিশ্বাস বারে বারে উঠে এসেছে তাঁর কথায়। কিন্তু আসল কথা বলল জনতার রায়। ‘বহিরাগত’ কীর্তি আজাদই বিপুল ভোটে হারালেন দিলীপ ঘোষকে।
অন্তর্দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দিলীপ ঘোষের
প্রচারে একাধিক বার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে জয়ের কথা। কিন্তু নির্বাচনী ফল বেরোনোর পরদিনই ক্ষোভের সুর দিলীপ ঘোষের কথায়। দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘কালাপানি কাকে বলে আমি জানি। কাঠিবাজি আর চক্রান্ত রাজনীতির অংশ। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি। তারপরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সাফল্য আসেনি। রাজনীতিতে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে’। শোনা যায়, প্রথমে নাকি মেদিনীপুর কেন্দ্রেই দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করার কথা ভেবেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু তা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ দেখা দিয়েছিল। শেষমেষ কেন্দ্র বদলে বর্ধমান দূর্গাপুরে পাঠানো হয় দিলীপ ঘোষকে।
হারের নেপথ্যে কী কারণ?
তাঁর হারের নেপথ্যে কি কেন্দ্র বদলটাও ফ্যাক্টর? দিলীপ ঘোষ বলেন, সব সিদ্ধান্তেরই প্রভাব পড়ে। এটাও অসম্ভব কিছু নয়। বাংলার মানুষ বলবেন কোনটা ঠিক হয়েছে আর কোনটা ভুল। তাঁকে দল যখন যা বলেছে তিনি ফাঁকি না দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে তা করেছেন। বর্ধমানে আসন কঠিন ছিল। লড়াই হয়েছে সেটা সকলেই স্বীকার করবেন। তাঁকে যাঁরা ওখানে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা ভাববেন বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।