বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় একজন প্রতিশ্রুতিময় প্রতিভা হলেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)। বাংলার দর্শক তাঁকে চেনেন ‘রাণী রাসমণি’ হিসেবে। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন তিনি। অনেক কম বয়সেই সিনেমায় ডেবিউ। শুধু তাই নয়, বাবার অসুস্থতার কারণে ওই ছোট বয়সেই সংসারের দায়িত্ব কাঁধেও তুলে নেন দিতিপ্রিয়া।
দিতিপ্রিয়া নামটা এখন আর কারোরই অজানা নয়। তাঁর শুরুটা হয়েছিল ছোটপর্দা থেকেই। পুঁচকে বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন ‘দুর্গা’ ধারাবাহিকে। সে সময়ে তাঁর বয়স মাত্র ৬ বছর। তারপর একে একে ‘অপরাজিত’, ‘তোমায় আমায় মিলে’ সিরিয়ালে দেখা যায় তাঁকে। তারপরেই আসে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘রাজকাহিনী’ ছবির প্রস্তাব। তবে দিতিপ্রিয়ার উত্থান মূলত ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’র হাত ধরে। রাসমণি চরিত্র তথা এই সিরিয়ালটি জনপ্রিয়তার চূড়ায় তুলে দিয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকে আর থামতে হয়নি দিতিপ্রিয়াকে। বাংলা ছবি, ওয়েব সিরিজের পাশাপাশি কাজ করেছেন হিন্দিতেও।
তবে অনেকেই জানেন না, খুব কম বয়সেই সংসারের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিল দিতিপ্রিয়াকে। আচমকাই ক্যানসার ধরা পড়ে অভিনেত্রীর বাবার। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া জানান, তাঁর বাবা প্রায় যখন সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তখনি তাঁর কাছে রাণী রাসমণির প্রস্তাব আসে। সে সময় তিনি পড়তেন নবম শ্রেণিতে। দিতিপ্রিয়া বলেন, তাঁর কাছে দুটি অপশন ছিল, সিনেমা নয়তো সিরিয়াল। তবে ধারাবাহিকে অভিনয় করলে অনেকটা বেশি উপার্জন করা যায়। অভিনেত্রীর কথায়, অনেকের বাবা মা সন্তানকে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ান। তাঁর বাবার অসুস্থতার জন্য নবম শ্রেণিতেই তাঁকে সংসারের ভার নিতে হয়েছে। তাতে কী হয়েছে! এখনো যে বাবাকে ‘বাবা’ বলে ডাকতে পারছেন, এটাই তাঁর কাছে সব বলে মন্তব্য করেন দিতিপ্রিয়া।
অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পড়াশোনাটাও চালিয়ে গিয়েছেন দিতিপ্রিয়া। ১৪ ঘন্টার বেশি শুটিং করে পরীক্ষা দিয়ে ঘুমানোর সময় পেতেন মাত্র ৩-৪ ঘন্টা। তাঁর মাও সে সময় অনেক পরিশ্রম করেছেন বলে জানান অভিনেত্রী। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করছেন তিনি। জীবনে এসেছেন এক বিশেষ মানুষ। সঙ্গে চলছে নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয়। পরিবার এবং কাজ নিয়ে দিব্যি আছেন দিতিপ্রিয়া।
Instagram-এ এই পোস্টটি দেখুন