Hoop Fitness

Lifestyle: মদ্যপান না করেও হতে পারে ফ্যাটি লিভার, আপনি আক্রান্ত নন তো! জেনে নিন লক্ষন

ক্যান্সার, সুগারের মতন ফ্যাটি লিভারও এখন ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে গোপন শত্রু হিসেবে, যা আপনাকে একেবারে চিরতরে শেষ করে দেবে। সম্প্রতি শংকর চক্রবর্তীর শ্রী প্রয়াত হয়েছেন এই একই রোগের কারণে। আপনার ঘরেও কি বাসা বাঁধছে এমন ভয়ংকর ব্যাধি? তাহলে কিভাবে বাঁচবেন এই ব্যাধির হাত থেকে? Hoophaap এর পাতায় দেখে ফেলুন ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের উত্তর।

প্রথমে জেনে নিন ফ্যাটি লিভার কেন হয়?

যতদিন যাচ্ছে, তত এই ধরনের রোগের প্রকোপ আমাদের শরীরে বেশি পরিমাণে বাসা বাঁধছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য দায়ী হলো খাদ্যাভ্যাস। বাইরে বেরোলেই যখন খুব খিদে পায়, তখন মনে হয়, এক প্লেট সুস্বাদু চাউমিন খেয়ে নি, কিম্বা পিজ্জা, বার্গার খাচ্ছেন? মারাত্মক ভুল করছেন। বারবার করে তেল জ্বালানোর ফলে তেলের মধ্যে তৈরি হয় মারাত্মক পরিমাণে টক্সিন। যা শরীরের মধ্যে যায় এই সমস্ত জাঙ্ক ফুড খাবারের মধ্যে দিয়ে। তাছাড়াও অতিরিক্ত ঘি, মাখন, পাঁঠার মাংস, চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলেও লিভারের বারোটা বাজিয়ে ফেলছেন। এছাড়াও অতিরিক্ত মদ্যপান করলে, সেখান থেকেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়তে পারে।

কিভাবে বুঝবেন আপনি ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন –

১) অতিরিক্ত ভুঁড়ি হওয়া ক্ষতিকর – যখনই বুঝবেন চেহারায় অর্থাৎ পেটে একটু একটু করে মেদ লাগতে শুরু করেছে অর্থাৎ মধ্যপ্রদেশটা বেশ বড় আকার ধারণ করছে, তখনই বুঝতে পারবেন বিপদ ঘনিয়ে আসতে চলেছে। তাই অবশ্যই ভুঁড়ি না হয় এমনটা চেষ্টা করুন।

২) বমি বমি ভাব হতে পারে – যদি অনর্গল বমি বমি ভাব হয় খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে বুঝতে পারবেন ফ্যাটি লিভারে আপনি আক্রান্ত হতে চলেছেন। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক সময় দ্রুত চেহারার অবনতি হতে পারে।

৩) মাথা ব্যাথা, ডিপ্রেশন হতে পারে – যদি ক্রমাগত মাথা ব্যথা কিংবা মানসিকভাবে অনেক খারাপ অবস্থায় থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, লিভার সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হতে পারে। ফ্যাটি লিভার সেক্ষেত্রে হতেই পারে, তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪) হজমের সমস্যা হতে পারে – ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হলে খাবার হজম হতে সময় লাগবে, হজমের সমস্যায় জেরবার হয়ে যেতে পারেন।

কোন কোন খাবার একেবারেও ছুঁয়ে দেখবেন না, দেখে নিন চটজলদি –

১) মদ্যপান করা একেবারেই উচিত নয় – যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন, তারা আস্তে আস্তে মদ খাওয়া ছেড়ে দিন। মত অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা অনেক অংশ বেড়ে যাবে।

২) ভাজাভুজি খাওয়া ছাড়তে হবে – অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। যারা প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণে ভাজাভুজি খান। তারা আস্তে আস্তে ভাজাভুজি খাওয়া ছেড়ে দিন। হালকা করে ঝোল, তেল ছাড়া চিকেন স্টু ইত্যাদি খেতে পারেন।

৩).কোল্ডড্রিংস খাওয়া বন্ধ করুন – গরমে বাইরে বেরোলেই মনে হয় কোলড্রিংস খেলে মন প্রাণ সব জুড়িয়ে গেল? কিন্তু কোল্ড্রিংসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মিষ্টি। যা আপনার অজান্তেই আপনার শরীরে ঢুকে নানান রকম রোগের বাসা বাঁধতে সাহায্য করছে। যদি কোল্ড ড্রিংকস যদি ঠান্ডা কিছু খেতেই হয় তাহলে ডাবের জল, আখের রস ইত্যাদি ফ্রেশ ফলের জুস খেতে পারেন।

৪) ঘি, মাখন, তেল বন্ধ করুন – তেল, মাখন, ঘি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। তবে একদিনেই সব সম্ভব না, আস্তে আস্তে বন্ধ করুন। সেক্ষেত্রে চর্বি জাতীয় মাংস খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

Related Articles