ভারতের পাঁচটি রহস্যময় সমুদ্রতট
ভ্রমণ পিপাসু মন একটু ছুটি পেলেই এদিক ওদিক ছুটে যেতে চায়। শুধু ভ্রমণ পিপাসায় নয় অনেকে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে চলেন রহস্যের টানে। ভারতের এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে বিজ্ঞানের কোন যুক্তি খাটে না। সেসব জায়গায় রহস্য উদঘাটন করা তাবড় তাবড় বৈজ্ঞানিকদের পক্ষেও সম্ভব হয়নি। ভারতে সমুদ্রতটেও নানান রকম রহস্যময় ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। চলুন জেনে নি ভারতের রহস্যময় ৫ টি সমুদ্রতট সম্পর্কে।
১) চাঁদিপুর সমুদ্রতট (উড়িষ্যা): উড়িষ্যায় অবস্থিত এই সমুদ্রতট যেন লুকোচুরি খেলে। জোয়ারের সময় ৫ কিলোমিটার সমুদ্রতট একেবারে চোখের সামনে উধাও হয়ে যায়। এই ঘটনাটি দিনে দুবার ঘটে। তবে কিছুক্ষণ পরে আবারও জোয়ার কমে যাওয়ার সাথে সাথেই সমুদ্রতট ফিরে আসে। এই সমুদ্রতট উড়িষ্যার বালাসরে অবস্থিত।
২) জুহু সমুদ্রতট: রাত হলেই জুহু সমুদ্রতটের সমুদ্রের জল নীল বর্ণ ধারণ করে। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে একটা রহস্যময়তা সৃষ্টি হলেও এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞান। সমুদ্রের জলে থাকা ফাইটোপ্লাংটন যারা নিজেদের শরীর থেকে এক ধরনের নীল আলো নিঃসরণ করে। যার ফলে রাত্রিবেলায় সমুদ্রের জলের রং নীল বর্ণ ধারণ করে। বিদেশের অনেক সমুদ্রতট এমন ঘটনা দেখা গেলেও ভারতের একমাত্র লাক্ষাদ্বীপ এর কাভারাত্তি আইল্যান্ডে এমন ঘটনা দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে মুম্বাইয়ের জুহু বিচ এও এরকম ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
৩) দুমাস সমুদ্রতট (গুজরাট): এই সমুদ্রতট ভারতের সবচেয়ে রহস্যময় একটি সমুদ্রতট। তবে শুধু রহস্যময় বললে ভুল হয়। এই সমুদ্রতটটি হল অতীব ভয়ংকর। এটি গুজরাটের সুরাটে অবস্থিত। এই সমুদ্রতটে নাকি মানুষ বেড়াতে গেলে নানান রকমের গলার আওয়াজ শুনতে পান।
৪) ওম সমুদ্রতট (গোকর্ণ): সমুদ্রতটের নামটি হল ওম। তবে এমন অদ্ভুত নামকরণ কেন! এ প্রশ্নের উত্তর এখানে গেলেই দেখতে পাওয়া যায়। কারণ এই সমুদ্রতটের আকৃতি হল হিন্দুদের পবিত্র মন্ত্র ‘ওম’ এর মত। গোকর্ণ এ রয়েছে এমন ‘ওম’ সমুদ্রতট। অদ্ভুতভাবে, গোকর্ণ বিখ্যাত এখানকার শিবের মন্দির এর জন্য।
৫) নাগোয়া সমুদ্রতট (দিউ): দিউ এ অবস্থিত এই সমুদ্রতটের রয়েছে এমন এক ধরনের গাছ যা গোটা ভারতের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু এমন কি গাছ? যা একমাত্র সেখানেই পাওয়া যায়? এ প্রশ্ন এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, পর্তুগিজরা আফ্রিকা থেকে এখানে ‘হোকা’ গাছ নিয়ে এসেছিল। বর্তমানে এই গাছ দিয়ে পুরো সমুদ্রতট ঘেরা রয়েছে। তাই এই গাছ আর অন্য কোথাও দেখা যায় না।