LIC: মাত্র ১৩৪ টাকা করে জমিয়েই মিলবে ৩৫ লক্ষ টাকার রিটার্ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সুযোগ দিচ্ছে LIC
নিজের রোজগারের টাকা সঞ্চয় করতে কেই না চায়। আর তার সাথে যদি পাওয়া যায় জীবনবিমা, সঙ্গে ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার উপর তেমন ভরসা করেন না নাগরিকরা। কারণ অবশ্য একটাই, ভুঁইফোড় সব চিটফান্ড। তবে সেসব ঝুঁকি ছাড়াই টাকা বিনিয়োগ করার বিষয়ে অনেকের প্রথম পছন্দ হল LIC। অনেকেই এই বীমা সংস্থাকে একমাত্র ভরসযোগ্য সংস্থা বলে মনে করেন।
আর এবার LIC নিয়ে এক আকর্ষণীয় একটি প্ল্যান, যার মাধ্যমে মিলবে নিয়মিত ইউনিট অনুযায়ী বিনিয়োগের পরিকল্পনার সুযোগ। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের ধরণ সাধারণ বিনিয়োগের মতো না হলেও এতে গ্যারেন্টি রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ থাকছে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পলিসি হোল্ডারের হাতে যে একটা মোটা অংকের টাকা নিশ্চিতভাবে আসবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে এই মিলবে ভালো অংকের সুদের হারও। তাই এই পলিসিকে গ্রাহকদের জন্য উপযোগী বলে দাবি করাই যায়।
ভারতীয় জীবনবীমা মিগমের এই পলিসির মাধ্যমে এসআইপি’র মাধ্যমে বিনিয়োগ করা যায়। তবে মাথায় রাখতে হবে যে এটি কিন্তু একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। অর্থস্ট এই পলিসিতে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে এই পলিসিতে বিনিয়োগ করতে হবে। আর তাতেই মিলবে দুর্দান্ত রিটার্ন। ইতিমধ্যে যারা এই পলিসিতে বিনিয়োগ করেছেন বা বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের মতে এলআইসি’র এই পলিসি থেকে তিন হন অবধি রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। আর এই পরিকল্পনার সবথেকে বড় বিষয়টি হল এই যে এই পলিসিতে গ্রাহক পছন্দমতো প্রিমিয়াম প্ল্যান বেছে নিতে পারবেন।
ভারতীয় জীবনবীমা নিগম লিমিটেডের এই পলিসিতে বীমা কভারেজও পাওয়া যায়। আর সেই কভারেজ পাওয়া যায় বার্ষিক ভিত্তিতে। অর্থাৎ, বছরে ৪০ হাজার টাকার বীমা কভারেজ দিয়ে থাকে এই পরিকল্পনা। এবার উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যক্তি দৈনিক ১৪৩ টোকা জমিয়ে যদি মাসিক প্রিমিয়াম হিসেবে ৪,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ২১ বছরে তার মত সঞ্চয় হবে ১০ লক্ষ ৮ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে রিতাতন হিসেবে পাওয়া যেতে পারে ৩৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ মোট বিনিয়োগের তিনগুন টাকা মিলবে রিটার্ন হিসেবে।