লাগবে শুধু রেশন কার্ড, এই প্রকল্পে ১০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে যাবেন মহিলারা
মহিলাদের যাতে আর্থিক উন্নতি হয়, বিভিন্ন বয়সী মহিলারা যাতে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হতে পারে তার জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প (Government Scheme) চালু রয়েছে দেশ জুড়ে। শুধু কেন্দ্রীয় সরকারই না, অনেক রাজ্য সরকারের তরফেও বেশ কিছু প্রকল্প চালু করা হয়েছে যেগুলি মহিলাদের জন্য খুবই লাভজনক। কোনো কোনো প্রকল্পে তাদের ক্ষুদ্র শিল্প বা ব্যবসায় সাহায্যের মাধ্যমে আর্থিক অবলম্বন দেওয়া হয়, আবার কিছু কিছু প্রকল্পে সরাসরি অর্থ সাহায্য করা হয়ে থাকে মহিলাদের।
কী এই বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা
পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেমন বিধবা ভাতা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় সরাসরি উপভোক্তা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে থাকে। এমনি আরেকটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে যেখানে পাওয়া যাবে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। এই প্রকল্পের নাম হল ‘বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা’। ১৯৯৭ সালে চালু করা এই প্রকল্পেয মূল উদ্দেশ্য, কন্যা সন্তানরা যাতে নিরাপদে তাদের শিক্ষার সুবিধা নিতে পারে। এই প্রকল্পের আওতায় কন্যা সন্তানের জন্ম থেকে শুরু করে বছরের পর বছর তার শিক্ষার ভার গ্রহণ করে সরকার।
কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে
কন্যা সন্তানের জন্মের পরেই ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন জন্মদাত্রী মা। এই প্রকল্পের অধীনে ছাত্রীদের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের ৩০০ টাকা, চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের ৫০০ টাকা, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের ৬০০ টাকা, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণিতে ৭০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের ৮০০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- মেয়ের জন্ম পরিচয়পত্র
- বাড়ির ঠিকানা
- আধার কার্ড
- বাবা মায়ের রেশন কার্ড
- পরিচয়পত্রের প্রমাণ
- আয়ের শংসাপত্র
- ব্যাঙ্কের পাসবই এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- আবেদন প্রক্রিয়া
যে কোনো অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী কিংবা স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে গিয়ে বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার আওতায় আবেদনের ফর্মটি পাওয়া যাবে। ফর্ম ফিলাপ করে আবেদন করা যাবে। প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে, জরুরি নথিপত্র দিয়ে ফর্মটি জমা দিতে হবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর কাছে বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।