শুনতে ভারি অবাক লাগছে ত্বকের যত্নে আবার পেয়ারা পাতা কোথা থেকে আসবে? কিন্তু বিশ্বাস করুন, মাত্র এক মাস ব্যবহার করে দেখুন এইভাবে পেয়ারা পাতাকে দেখবেন আপনার ত্বক একেবারে দুধের মতন পরিষ্কার ঝকঝকে হয়ে যাবে, আমরা অনেক সময় দাঁতে ব্যথা হলে, কুলকুচি করার জন্য পেয়ারা পাতা ফুটানো জল ব্যবহার করি, এইভাবে ব্যবহার করতে পারেন। আই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন পেয়ারা পাতা দিয়ে পাঁচটি সহজ ফেসপ্যাক।
১) পেয়ারা পাতা বাটা – পেয়ারা পাতা বাটা ত্বকের উপরে যদি কোনো রকম র্যাশ, ব্রণ বা কালো দাগ হয়ে থাকে, তাহলে সহজেই পেয়ারা পাতা বেটে জলের সঙ্গে ভালো করে একটি ঘন পেস্ট বানিয়ে দাগের উপরে রাখতে পারেন, দেখবেন সহজেই কালো দাগ একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
২) পেয়ারা পাতা, টক দই – পেয়ারা পাতা বেটে জলের সঙ্গে ভালো করে একটি ঘন পেস্ট বানিয়ে টক দই মিশিয়ে দাগের উপরে রাখতে পারেন, দেখবেন সহজেই কালো দাগ একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩) পেয়ারা পাতার পেস্ট এবং মধু – যাদের মুখের উপর অতিরিক্ত কালো দাগ ব্রণের দাগ আছে তারা পেয়ারা পাতার পেস্টের সঙ্গে মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে লাগাতে পারেন, গোটা শীতকাল যদি সপ্তাহে তিন দিন এমনটা লাগাতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বক হবে একেবারে দুধের মতন পরিষ্কার।
৪) পেয়ারা পাতার পেস্ট, দুধের সর – পেয়ারা পাতার পেস্ট এর সঙ্গে দুধের সর খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটির মুখে, গলায়, পিঠে ভালো করে লাগিয়ে নিতে পারেন। শীতকালে যাদের অতিরিক্ত ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায় দুধের সর তাদের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি উপাদান।
৫) পেয়ারা পাতার পেস্ট, অ্যালোভেরা জেল – পেয়ারা পাতার টেস্টের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেলকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে অ্যালোভেরা গাছের থেকে পাতা কেটে নিয়ে সেখান থেকে সহজেই জেল বার করে নিতে পারেন, এরপর খুব ভালো করে মিশিয়ে মুখে ঘষে ঘষে লাগালেই দেখবেন কত সুন্দর, পরিষ্কার, ঝকঝকে হয়ে গেছে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।