অযত্নে ফুটলেও গুণের সমাহার, নয়নতারার দৌলতে ডায়াবেটিস থাকবে বশে
নয়নতারা (Nayantara) ফুলের সঙ্গে সকলেই কমবেশি পরিচিত। বাড়ির টবে বা রাস্তার ধারের আগাছায় অযত্নেও ফুটে থাকে এই ফুল। গোলাপি, সাদা ছোট ছোট ফুলগুলি পুজোতেও খুব একটা ব্যবহার হয় না বলে এর কদরও খুব একটা নেই। অনেকে শখ করে বাড়ির ছাদে বা ব্যালকনিতে টবে লাগালেও তথাকথিত জাতে উঠতে পারেনি নয়নতারা। তবে এই ফুলে যে কত গুণ আছে তা জানেনই না অধিকাংশ মানুষ। ডায়াবেটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রে জাদু দেখাতে পারে নয়নতারা।
নয়নতারা ফুলের পাতায় রয়েছে এমন ঔষধিগুণ যা ডায়াবেটিসের প্রতিকারে খুবই কার্যকরী। আধুনিক জীবনযাত্রার মান এমনই হয়ে গিয়েছে যে ডায়াবেটিস আর কোনো নির্দিষ্ট বয়সে আটকে নেই। আগে মূলত বয়স্ক মানুষরাই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হতেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে লক্ষণ প্রকাশ করত এই রোগ। কিন্তু এখন আর কোনো বাছবিচার নেই। যৌবনকালেও অনেকে হচ্ছেন ডায়াবেটিসের শিকার। আর একবার রোগে ধরলে একাধিক খাবার দাবারে সংযম তো করতেই হয়, উপরন্তু ওষুধ পত্র তো রয়েছেই।
তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নয়নতারা ফুলের অদ্ভূত গুণের কথা উল্লিখিত রয়েছে যা ডায়াবেটিস উপশমে দারুণ কাজ করে। নয়নতারা ফুলে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য যা বিটা অগ্ন্যাশয় কোষ থেকে ইনসুলিন উৎপাদন করতে সাহায্য করে। স্টার্চ ভেঙে গ্লুকোজ তৈরিতে সাহায্য করে। নয়নতারার ফুল এবং পাতা দুটোতেই রয়েছে ঔষধিগুণ। কীভাবে ব্যবহার করা হয় নয়নতারা? গাছের পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে হবে। এক চা চামচ এই গুঁড়ো ফলের রস বা জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে খালি পেটে। নয়নতারা ফুল জলে সেদ্ধ করে সকালে খালি পেটে পান করা যায়। কিংবা সারাদিনে ৩-৪ টি পাতা চিবিয়েও খাওয়া যায়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা থাকবে বশে।
শুধু ডায়াবেটিস নয়। ম্যালেযিয়া, গলা ব্যথা এমনকি লিউকিমিয়া রোগের জন্যও ভালো কাজ করে। আসলে নয়নতারা ফুলে রয়েছে ১০০ টিরও বেশি অ্যালকোলয়েড। এর মধ্যে আবার ভিনক্রিস্টাইন এবং ভিনব্লাস্টাইন সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যা রয়েছে নয়নতারায়।