বিছানায় বাড়বে উদ্যম, ফিরবে হারানো পৌরুষ, আজই বাড়িতে আনুন এই উপকারী তেল
প্রতিদিনের রান্নায় তেল অপরিহার্য। যতই কম তেলেই রান্না হোক না কেন, নূন্যতম পরিমাণ তেল তো লাগেই। এক্ষেত্রে কেউ কেউ রান্না করেন সরষের তেলে, কেউ আবার বেছে নেন রিফাইন বা সাদা তেল কিংবা রাইস ব্র্যান অয়েল। আবার কারোর কারোর পছন্দ অলিভ অয়েল (Olive Oil)। অলিভ অয়েল অর্থাৎ জলপাইয়ের তেল যে শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী তা এতদিনে অনেকেই জেনে গিয়েছেন। হরদম বিজ্ঞাপন চলছে নানান ব্র্যান্ডের অলিভ অয়েলে। মূলত পাশ্চাত্য রেসিপিতে অলিভ অয়েলের ব্যবহার হলেও বর্তমানে ভারতীয় তথা বাঙালি খাবারেও এই তেলের ব্যবহার হচ্ছে।
তবে যেকোনো অলিভ অয়েল নয়, পুষ্টিবিদদের মতে একমাত্র এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলই শরীরের পক্ষে সবথেকে বেশি পুষ্টিকর। তাই অন্যান্য তেলের জায়গায় একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে অলিভ অয়েল আপন করে নেওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এই তেলে প্রচুর উপকারী যৌগ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। শুধু তাই নয়, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই যেগুলি সবকটিই স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। এই তেলে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি, প্রায় ৭৩ শতাংশ। এই ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারী ফ্যাট।
পাশাপাশি এই তেলে রয়েছে ওলিক অ্যাসিড যা শরীরে ক্যানসারের জিন থাকলে নির্মূল করতে সাহায্য করে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান যা নানান ভাবে শরীরের উপকার সাধন করে। এই তেল প্রদাহ কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে রক্ষা করে। খারাপ এলডিএল কমায় এবং রক্তনালীগুলির আস্তরণের উন্নতি ঘটিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ কমায়।
অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেট ভরা থাকতে সাহায্য করায় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই তেল পুরুষদের মধ্যে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে যৌন হরমোনও বাড়াতে সাহায্য করে এই তেল। শিরায় রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এই তেল অ্যালজাইমার অর্থাৎ স্মৃতিভ্রংশ রোগের সম্ভাবনা কমায়। এক দু চামচ অলিভ অয়েলে রান্না করে খাওয়া এবং কিংবা স্যালাডে এই তেল মিশিয়ে খাওয়া খুব স্বাস্থ্যকর।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।