Diabetes control থেকে পেটের নানান রোগ, সব সমস্যার সমাধান রয়েছে ১টি উপাদানে
ভারতের আয়ুর্বেদশাস্ত্রে ‘রত্নখনি’ বলা হয় ত্রিফলাকে। সংস্কৃতে ত্রিফলা শব্দটির অর্থ হলো ‘তিনটি ফলের সমাহার’। আমলকি, হরিতকী বা হরদ এবং বিভিতকি বা বহেরা এই তিনটি ‘সুপারফ্রুট’ -এর মিশ্রণ হল এই ত্রিফলা। এই তিন ধরনের ফল শুকিয়ে নেওয়ার পর তা চূর্ণ করে নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় ত্রিফলার মিশ্রণ।
ত্রিফলার বহু গুণ রয়েছে। ত্রিফলায় ব্যবহৃত প্রতিটি ফলই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এর পাশাপাশি আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, রোগ প্রতিরোধে যার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ত্রিফলাকে ‘ইমিউনিটি বুস্টার’ -ও বলা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এর একাধিক গুণ রয়েছে।
১. ত্রিফলায় আমলকি ব্যবহার করা হয় যা পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরের দূষিত পদার্থ নির্গমনে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
২. অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ত্রিফলা। পাশাপাশি পরিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক রেখে হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪. পেশীর পুষ্টির যোগান দেয় এবং হাড় সুস্থ ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
৫. মধুমেহ রোগের উপশমে ত্রিফলা ব্যবহৃত হয়।
৬. দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে এবং চোখে ছানি ও গ্লকোমা জাতীয় চক্ষুরোগ হতে দেয় না।
৭. সংক্রমণ বা এলার্জি জাতীয় অসুখ দূরীভূত করতেও ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার।
৮. ওজন কমাতেও ত্রিফলার ব্যবহার অবিস্মরণীয়। ত্রিফলা মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করে এবং বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৯. শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে এবং খাদ্যনালীকে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
১০. মুখে ব্রণ, ফুসকুড়ির মত অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও ত্রিফলা ভীষণ উপকারী।
গবেষণায় ত্রিফলার গুনাগুন সম্পর্কে উঠে এসেছে আরও কয়েকটি বিস্ময়কর তথ্য। জানা গেছে, এটি ক্যান্সার প্রতিহত করতে সাহায্য করে। এমনকি মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কমাতেও এর ব্যবহার অতি প্রাচীন। ত্রিফলাকে গুঁড়ো করে, রস আকারে, ক্বাথ আকারে কিংবা ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট আকারে সেবন করা যেতে পারে। এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ এক কাপ জলে মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রেখে তা সকালে উঠেই খেয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এভাবেই ত্রিফলা সেবনে উপকার পাওয়া যাবে।