বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে যদি বিড়াল রাস্তা কাটে, তাহলে কী কী অশুভ লক্ষণ হতে পারে
বিড়াল নিয়ে নানান সংস্কার, কুসংস্কার রয়েছে। কেউ বাড়িতে বিড়াল লালন পালন করে, কেউ আবার বিড়াল দেখলেই তাড়িয়ে দেন। আচ্ছা এই বিড়াল কবেকার? কত জন্ম আগে বিড়ালের সৃষ্টি? গবেষণা বলছে, বিড়াল একটি গার্হস্থ্য প্রজাতি বা ছোট মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণী। বিজ্ঞানীদের মতে গার্হস্থ্য বিড়াল প্রায় ১০-১৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে ফেলিডির পরিবারের সাধারণ পূর্বসূরি ছিল। এখন বিড়াল পথে ঘাটে ঘরে ঘরে। চলুন জেনে নিই বিড়াল সম্পর্কে আরও কিছু টুকি টাকি তথ্য।
আমাদের সমাজে বিড়াল সম্পর্কিত অনেক কুসংস্কার রয়েছে। তবে তাদের পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। কিন্তু মানুষ পুরানো কথা শোনে আর বিশ্বাস করে। আজকের নিবন্ধটি এই বিষয়ে। প্রায়শই আপনি বড়দের বলতে শুনেছেন যে বিড়াল যদি পথ অতিক্রম করে তবে আপনি বাড়ি ফিরে যান বা এগিয়ে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে যান।কারণ, বিড়াল পথ কাটা মানে যাত্রা অশুভ।
কেউ বলেন বাড়িতে যদি দুটি বিড়াল ঝগড়া করে বা মারপিট করে তবে ঘরের কেউ অসুস্থ হয়ে যায়। এমনকি, যদি কারো বাড়িতে একটি বিড়াল কাঁদে, তার মানে এটি মৃত্যুর দিকে ইঙ্গিত করছে। পরিবারের কারো মৃত্যু হতে চলেছে। এমনকি, কালো বিড়াল থাকলে দেখলে অনেকে তাড়িয়ে দেয়, কারণ অনেকের ধারণা কালো বিড়াল হল পিশাচের অবতার।
অনেক দেশে ও সমাজে কালো বিড়ালকে এখনোও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেউ কেউ কালো বিড়াল ঘরে রাখেন। স্কটিশরা বিশ্বাস করে যে, ঘরে কালো বিড়ালের আগমন উন্নতির প্রতীক। তবে, গবেষণা এও বলছে যে শৈশবে বাড়িতে বিড়াল পোষার রীতি ছিল এমন পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পরবর্তী জীবনে সিজোফ্রেনিয়া বা অন্য মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা গিয়েছে।
সুতরাং, বিড়াল নিয়ে নানান সংস্কার ও কুসংস্কার রয়েছে। তবে সৌভাগ্য দুর্ভাগ্য বয়ে আসে কর্মের উপর ভিত্তি করে। তবে, বিড়াল পুষলে অবশ্যই পরিষ্কার রাখা উচিৎ, তাতে করে ঘরের মানুষদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং বিড়ালকেও যত্ন করে রাখা উচিত।