Hilsa fish Price: উৎসবের মরশুমে আদৌ কি ইলিশ মাছের দাম কমবে!
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন রাত্রিবেলা রাত্রিবেলা অরন্ধন উৎসব পালিত হয় অর্থাৎ পরের দিন রান্না বন্ধ থাকে। সারা রাত ধরে যে রান্না করা হয়, সেই রান্নাকেই পরের দিন পান্তা করে খাওয়া হয়। উৎসবের মূল উপাদান হলো ইলিশ মাছ। তবে এবারে ইলিশ মাছ, কিন্তু বাঙালির হাতের নাগালের একেবারে বাইরে চলে গেছে উৎপাদন বেশি হলেও দাম কিন্তু কিছুতেই কমছে না।
এরপরে বাধ সেজেছে সমুদ্রে দুর্যোগ। দুর্যোগের কারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য ইলিশ মাছ শিকার করতে পারেনি মৎস্যজীবীরা, যার ফলে ইলিশ মাছের আকাল। বাধ্য হয়েই ছোট ইলিশ মাছ আনছেন মধ্যবিত্ত বাঙালিরা।
এ বিষয়ে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশন’ এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্ন চাপের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সাগর উত্তাল, সেই জন্যই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, মৎস্যজীবীদের জন্য যার ফলে ট্রলার গেলেও ফাঁকা ট্রলার নিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। বারবার এই প্রকৃতির খামখেয়ালি ওনার জন্য ইলিশ মাছ ব্যবসায়ীদের মাথায় কিন্তু রীতি মতন টান পড়ছে।
উৎসবের আয়োজন করতে অগত্যা হিমঘরে থাকা ঠান্ডা মাছ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন আমজনতা। ৭০০ থেকে প্রায় ৭৫০ টাকা কেজি, আর বড় ইলিশের মাছ ২০০০ টাকা পর্যন্ত ছুঁয়ে গেছে। ফলে নিয়ম রক্ষা করতে মধ্যবিত্ত বাঙালিরা মুখ ব্যাজার করে কোন রকমের ছোট ইলিশ মাছ কিনেই বাড়ি ফিরছেন। তবে দূর্গা পূজার সময় কেউ ইলিশ মাছের এমনই দাম থাকবে, কিছুই আপাতত জানাতে পারছেন না মৎস্য দপ্তর। কবে রূপালী ফসলের একটু দাম কমবে, সেই আশায় দিন গুনছেন বাঙালি ইলিশ প্রেমীরা।