অ্যালোভেরা নিস্তেজ প্রাণহীন ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে। যারা চান মাত্র কয়েক মিনিটে আপনার তো খুবই ভীষণ সুন্দর, ঝলমলে তারা কিন্তু অ্যালোভেরা জেল সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে যাদের সংবেদনশীল ত্বক তারা কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করবেন না। শুধু রোদে পোড়া নয়, সান ট্যান হালকা করতেও এটি খুবই কার্যকরী। এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে, অ্যালোভেরা নতুন কোষের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে যা ব্রণের দাগ, চিহ্ন এবং ত্বকের অন্যান্য পিগমেন্টেশন হালকা করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার ত্বককে প্রাণোচ্ছল করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই ভালো সহজে তেলমুক্ত করে সতেজ ও সুন্দর ত্যাগ করতে সাহায্য করে।
কমলালেবুর খোসা নিয়ে তাকে জলের মধ্যে খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর এই জলকে কমলালেবুর খোসা শুধু মিক্সিতে দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে তারপর ছেঁকে নিতে হবে। যে মিশ্রণটি পাওয়া যাবে এর সঙ্গে ভিটামিন ই অয়েল, অ্যালোভেরা জেল, গ্লিসারিন, গোলাপজল খুব ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। মিশ্রণটিকে আপনি পরপর ৭ দিন ফ্রিজের মধ্যে স্টোর করে রাখতে পারেন, রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এটি। এটি যদি নিয়মিত করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বক হবে দুধের মতন পরিষ্কার।
উপকারিতা –
১) ত্বকের উপরে হওয়া কালো দাগ রীতিমতন দূর হয়ে যায়। সূর্যের তাপে অনেক সময় ত্বকের উপরে কালো দাগ হয়ে যায়। কালো দাগ থেকে সহজেই রেহাই দেবে বাড়িতে বানানো এই অসাধারণ নাইট ক্রিমটি।
২) ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার হয়। বাইরে থেকে আর ভিটামিন সি যুক্ত ক্রিম আপনাকে কিনে আনতে হবে না। এটি ব্যবহার করলে যথেষ্ট।
৩) ব্রণ হওয়ার জন্য যে সমস্ত দাগ হয় সেই দাগ সহজেই চলে যাবে, এই নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে।
৪) অকাল বার্ধক্য থেকে যদি বাঁচতে চান তাহলে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন এই ক্রিমটি। লেবু, ভিটামিন ই অয়েল সবকটাই আপনার ত্বকের মধ্যে ইলাস্টিসিটি বাড়াতে সাহায্য করবে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।
