Hoop Life

বাড়িতে বাড়ছে বিছের আগমন! এই ঘরোয়া টোটকায় ‘বাপ-বাপ’ বলে পালাবে এই বিষাক্ত জীব

বর্ষাকালে ঘরবাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। শীতকালেও বেশ কিছু কীটপতঙ্গের উৎপাত বৃদ্ধি পায়। তবে ঋতুভেদে এই উৎপাত চালিয়ে যায় একটিমাত্র কীট। শীত হোক বা গ্রীষ্ম, কিংবা বর্ষা, বাড়িতে বিছের উৎপাত যে কোনও সময়েই চলতে পারে। বিশেষ করে রান্নাঘরের মতো স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় এর উপদ্রব সবচেয়ে বেশি হয়। এক্ষেত্রে বলা যায় যে ঘরের হাইজিন বজার রাখতে এই পোকাকে আমাদের চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ খুবই ক্ষতিকর।

খাবার-দাবারের উপর বিছে পড়ার ফলে জীবাণু সংক্রমনের আশঙ্কা তৈরি হয় প্রবলভাবে। এছাড়াও এই জীবের কারণে বিষক্রিয়াও হতে পারে। কারণ বিছের কামড় প্রবলভাবে বিষাক্ত। এই পোকার বিষ প্রাণঘাতী না হলেও এর কামড়ে জ্বর সহ প্রবল ব্যাথা হয়ে থাকে। শিশুদের শরীরে এর প্রভাব সবথেকে বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে এই সরীসৃপ কানে ঢুকে গেল তো সমস্যার শেষ নেই। এক্ষেত্রে চিরতরে বধির হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায় ব্যাপকভাবে।

এবার গৃহস্থালিতে বিছের উৎপাত থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে বাজারে অনেক রকমের স্প্রে উপলব্ধ রয়েছে। তবে এসব ব্যবহার করে বিছের উৎপাত কমে ঠিকই, কিন্তু তার ফলে আমাদের শরীরেও নানা ক্ষতি হতে পারে। তাই ক্ষতি এড়িয়ে ঘরোয়া কিছু দিয়ে অনায়াসে বিছে তাড়াতে পারেন। এতে আপনার শরীরেরও ক্ষতি হবে না, উপরন্তু এই বিষাক্ত কীটও চলে যাবে এবং ফিরে আসবে না। এই প্রতিবেদনে জনাবো তেমনই পদ্ধতি।

এক্ষেত্রে যেসব ডিটারজেন্ট লিকুইড দিয়ে বাড়ির বাসন মাজা হয়, সেই লিকুইড জলের সঙ্গে মিশিয়ে বাড়ির জানালা, দরজা ও বিভিন্ন কোণায় স্প্রে করতে হবে। এতে বিছের আগমন কমবে বাড়িতে। এছাড়াও, বাড়িতে এই ধরণের লিকুইড না থাকলেও ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়েও কাজটি করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে জলের সঙ্গে কিছুটা ভিনিগার মিশিয়ে নিতে হবে। তবে বাড়ির সমস্ত গর্ত বুজিয়ে ফেলতে হবে। এতে বিছে বাড়িতে বাসা বাঁধতে পারবেনা।

Related Articles