সমাজে মানসিক অবসাদ ক্রমশ বাড়ছে। অনেকেই এই কথাটা বলার পরেও আশেপাশের মানসিক অবসাদে ভোগা মানুষগুলিকে বুঝতে চেষ্টা করেন না। কিন্তু মানসিক অবসাদের উপর যদি আলোকপাত করা হয়, তাহলে জানা যাবে, এটি সমাজের চিরকালীন সমস্যা। মনকে ভালো রাখার চেষ্টা করেও পেরে ওঠেন না মানসিক অবসাদে ভোগা মানুষগুলি। যেমন পারেননি গায়িকা ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কাহিনী শেয়ার করেছেন ইমন। হয়তো অনেকেই বলবেন, কি দরকার ছিল, এই কথাগুলি শেয়ার করার। অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। শুধুমাত্র ইমন নন, যাঁরা মানসিক অবসাদের শিকার, তাঁদের প্রত্যেকের নিজেদের মানসিক অবস্থার বয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা উচিত। একসময় সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি হয়েছিল বন্ধুত্বের জন্য। কিন্তু এই মুহূর্তে শো-অফ, ট্রোল ও মিমে তা ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যদি মানসিক অবসাদে আক্রান্ত মানুষগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে ক্ষতি কি!
View this post on Instagram
শুক্রবার ফেসবুকে ইমন লিখেছেন, গত দুদিন তাঁর ভালো কাটেনি। তিনি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেও পারেননি। সকলের সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অত্যন্ত বিরক্ত লাগছিল। ভেঙে পড়েছিলেন ইমন। এর আগেও অবসাদের কবলে পড়েছেন তিনি। কিন্তু নিজেকে বুঝিয়ে কোনোভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কখনও খারাপ লাগতেই পারে। তাতে সমস্যা না হলেও নিজের মুডকে নিজেই বুঝতে হবে। নিজেকে ভালো রাখতে শিখতে হবে। সাহস রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
ইমন মনে করেন, মানসিক অবসাদ একটি মারাত্মক বিষয়। নিজের শান্তি নিজেকেই বজায় রাখতে হবে। সকলকে ভালো থাকার কথা বলেছেন ইমন। ইমনকে সমর্থন করে অনেকেই বলেছেন, তাঁদেরও মাঝে মাঝেই এই সমস্যা হয়। একজন নেটিজেন লিখেছেন, এই পরিস্থিতিতে সবাই মানসিক অবসাদে আক্রান্ত মানুষকে বোঝালেও তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। এই ধরনের বিষণ্ণতা নিয়ে প্রায়ই চলতে হয় এবং নিজেকেই এই সমস্যা থেকে বেরোতে হবে।
ইমন নিজেও এই ধরনের সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। মানসিক অবসাদ যেকোন রূপে আসতে পারে। তাই যখন মন ভালো লাগে না, তখন নিজের যা ভালো লাগে, তা করার চেষ্টা করাটা খুব জরুরী। অনেকেই ওয়ার্কআউট করা পছন্দ করেন। কারণ এর ফলে হ্যাপি হরমোন ক্ষরিত হয়। করোনা অতিমারীর কারণে অনেকেই এখনও ভয় পাচ্ছেন বাইরে বেরোতে। ভয় পাবেন না। কারণ আপনার ভয় রূপ নেবে মানসিক অবসাদের। লড়াকু মনোভাব হারিয়ে ফেলবেন না। মানসিক অবসাদে আক্রান্ত আপনজন বা বন্ধুর হাত ছেড়ে না দিয়ে তাঁর পাশে থাকুন।