অঞ্জন চৌধুরী (Anjan Choudhury) নামটা শুনলে প্রথমেই কোন কোন সিনেমা ভেসে ওঠে? একথায় বলতে গেলে অঞ্জন চৌধুরী মানেই ফ্যামিলি ড্রামা, টানটান সংলাপ, আর চুমকি চৌধুরী। শত্রু, ছোট বউ, বিধিলিপি, অভাগিনী-র মতন বহু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এখনও প্রায় সময় দুপুরে কোনো না কোনো চ্যানেলে অঞ্জন চৌধুরীর সিনেমা সম্প্রচারিত হয়। আগেকার দিনে দুপুরে প্রায় পরিবার ভাতের পাতে অঞ্জন চৌধুরীর সিনেমা উপভোগ করতেন, এখন অবশ্য সময় পাল্টেছে। নতুন নতুন গল্প এসেছে, সিনেমার ভাবধারা পাল্টেছে কিন্তু, অঞ্জন চৌধুরী নিজেই ছিলেন একটা ব্র্যান্ড।
আজ ২৫ শে নভেম্বর, প্রয়াত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর জন্ম দিবস। এই দিনে প্রতি বছর চুমকি চৌধুরী দেশপ্রিয় পার্কে সাঁই বাবার মন্দিরে যান, ভোগ বিতরণ করেন ও পথ শিশুদের খাবার খাওয়ান।
সম্প্রতি, এক সংবাদমাধ্যমে চুমকি চৌধুরী প্রয়াত বাবার স্মরণে মনের কথা শেয়ার করলেন। অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরীর কথায়, “অঞ্জন চৌধুরী কালারফুল টি-শার্ট আর পারফিউম খুব ভালোবাসতেন।” জন্মদিনে তিনি নিজে উপহার দিতেন। এমনকি অভিনেত্রী হওয়ার পর প্রথম উপার্জনের টাকায় বাবাকে হিরের আংটি কিনে দেন তিনি।
অঞ্জন চৌধুরী পছন্দ করতেন না তার মেয়েরা অন্য কারোর সিনেমায় কাজ করুক। তাই একমাত্র নিজের সিনেমায় কাজ করাতেন দুই মেয়েকে দিয়ে। অন্য কোনো প্রযোজনা সংস্থা থেকে অফার এলেও অঞ্জন চৌধুরী মেয়েদের অনুমতি দেননি। আর মেয়েরাও বাবার বাধ্য মেয়ের মতন তারই সিনেমায় কাজ করে যেতেন। এমত অবস্থায় চুমকি দেবী বলেন, “উত্তম জেঠু চলে যাওয়ার পর বাবাই বাংলা সিনেমাকে ঘুরে দাঁড় করান।”
বাবার কাজ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চুমকি দেবী এও বলেন, “অঞ্জন চৌধুরী নামটাই যথেষ্ট ছিল। একটা সিনেমার মূল ভিত্তি হল গল্প।” রঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গে বহু সিনেমার কাজ করেছেন চুমকি চৌধুরী। এই ব্যাপারেও অভিনেত্রীর মতামত, “রঞ্জিত মল্লিক যে রঞ্জিত মল্লিক হয়েছেন তা শুধুমাত্র বাবার জন্যই”.
এদিকে অঞ্জন চৌধুরীর স্মৃতিচারণায় স্বয়ং রঞ্জিত মল্লিক নিজেও মুখ খোলেন। তার কথায়, ‘মৌচাক’, ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ করার পর তিনি একদিন ‘চুমকি’(অঞ্জন দত্ত নিজেই মেয়ের জন্মের পর এই পত্রিকা বের করেন) পত্রিকায় ইন্টারভিউ দেন। ওই পত্রিকার লেখা তার অসম্ভব ভালো লাগে, এবং এর পরেই রণজিৎ মল্লিক নিজেই বলেন,”আপনার লেখার হাত তো অসম্ভব ভালো। আপনি সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য লিখতে পারেন তো।”