Income Tax Deduction: ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় মিলবে করদাতাদের? বড়সড় সিদ্ধান্ত অর্থমন্ত্রকের
সম্প্রতি ৩১ শে জুলাই শেষ হয়েছে আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা। ভারতীয় করযোগ্য নাগরিকদের এই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইল করার পরামর্শ বারবার দিয়েছে আয়কর দফতর। তবে এখনো অর্থাৎ ৩১ শে ডিসেম্বর অবধি বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ রয়েছে করদাতাদের জন্য। তবে সেক্ষেত্রে গুনতে হবে জরিমানা। কিন্তু সঠিক সময়ে এই কাজটি যারা করেছেন, তাদের আয়কর রিটার্ন ফাইলের যাচাইকরণ হয়ে গেলেই ফেরত আসতে শুরু করবে রিটার্নের টাকা।
তবে এখানে আয়কর ছাড়ের বিষয়ে একটি দাবি বিগত কয়েকবছর ধরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। আর সেটি হল ধারা 80C-এর অধীনে আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়ানোই। তবে আয়কর আইন ১৯৬১-এর ধারা 80C এর অধীনে অব্যাহতি সীমার সম্ভাব্য বৃদ্ধি সম্পর্কে এই দাবির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রক সাফ জানিয়েছে যে এই ধরনের কোনও প্রস্তাব বর্তমানে বিবেচনাধীন নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে, করদাতা এবং কর পেশাদাররা উচ্চতর ধারা 80C সীমার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এমনকি ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া (ICAI) তাদের প্রাক-বাজেট ২০২৩ পরামর্শে বলেছিলেন যে সরকারকে ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে PPF কাটার সীমা 80C ধারার অধীনে কমপক্ষে ৩ লক্ষ টাকা করা উচিত। যদিও সরকার এখন পর্যন্ত সীমা বাড়ায়নি।
কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী সম্প্রতি লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট করেছেন। ৩১ শে জুলাই লোকসভায় একটি লিখিত উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “সরকারের বিবৃত নীতি হল আয়কর আইন, ১৯৬১ সহজীকরণ করা, একযোগে করের হার কমানোর সাথে ছাড় এবং প্রণোদনাগুলি বাদ দিয়ে। অতএব, বিবেচনাধীন আয়কর আইনের ধারা 80C এর অধীনে ছাড় বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব নেই।”
উল্লেখ্য, আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ধারা 80C-তে কর ছাড়ের আওতায় রয়েছে বিভিন্ন পেনশন স্কিম, পিপিএফ এবং জীবন বীমা। এছাড়াও, ধারা 80C এর অধীনে বৈধ বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে ELSS তহবিল, জাতীয় পেনশন স্কিম (NPS), ইউনিট-লিঙ্কড ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান (ULIP), ট্যাক্স-সেভিং ফিক্সড ডিপোজিট, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF), সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (SCSS) এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা।