ভারতের প্রতিটি নাগরিক, যারা নিয়মিত সরকারি বা বেসিরকারী কোনো সংস্থা থেকে উপার্জন করেন, তখন তাদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূলক। আয়কর রিটার্ন হল একটি নির্ধারিত ফর্ম যার মাধ্যমে একটি আর্থিক বছরে এক জন ব্যক্তি তাঁর অর্জিত আয়ের বিবরণ জমা দিতে পারেন। আয়কর আইনের অধীনে, বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্নের বিভিন্ন ফর্ম নির্ধারিত হয়। রিটার্ন ফর্মগুলি আইটিআর ফর্ম নামে পরিচিত। এখন বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময়সীমা রয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর অবধি করা যাবে এই কাজটি। তবে তার জন্য গুনতে হবে নির্দিষ্ট জরিমানা।
তবে আয়কর রিটার্ন ফাইলের আগে তার নিয়মগুলি সঠিকভাবে জেনে রাখা দরকার। অর্থাৎ, কোন কোন ক্ষেত্রে আয়কর জমা করা আবশ্যক এবং কোন কোন বিষয়ে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়, তাও জানা দরকার প্রতিটি করদাতার। যদিও ভারতের আয়কর আইনের অধীনে এমন হাজারো নিবন্ধ রয়েছে, যা আয়করের নিয়ম নির্দেশ করে। তবে এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করবো বাড়ি বা রিয়েল এস্টেট সম্পর্কিত আয়কর আইনের বিষয়ে। কারণ অনেকেরই এই ব্যবসা করার শখ রয়েছে, বা অনেকে করেও থাকেন। এখন জেনে নিন এই বিষয়ে আয়কর দফতরের কি আইন রয়েছে।
বাড়ি বা রিয়েল এস্টেট ক্রয় বা বিক্রয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে আয়কর আইনের অধীনস্থ। উল্লেখ্য, একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা এই ধরণের রিয়েল এস্টেট বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায়, তা মূলধন হিসাবে বিবেচিত আয়কর আইনে। এবার যদি সেই বিক্রীত বাড়িটি ২ বছর বা তার বেশি সময়ের মালিকানার পরে বিক্রি করা হয় তবে তা দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ এবং যদি সেটি ২ বছরের আগে বিক্রি হয়, তাহলে সেটি স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভ হিসাবে বিবেচিত হয়। আয়কর আইন অনুযায়ী এই দুটি বিষয়ের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে করের হিসেব।
এক্ষেত্রে আয়কর আইনের ৫৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী যদি কোনো নাগরিক তার পুরানো বাতি বিক্রির ২ বছরের মধ্যে একটি নতুন বাড়ি কিনে নেন, তাহলে সেক্ষেত্রে তার উপর কোনো আয়কর আরোপ করা হয়না। তবে যদি সেই ব্যক্তি নতুন বাড়ি বানাতে চান, তাহলে তাকে ৩ বছর সময় দেওয়া হয়। তবে কোনো বাড়ি বিক্রি করে যদি কেউ জমির প্লট কেনেন, তাহলেও তিনি ২ বছর সময় পান। তাই এক্ষেত্রে এইভাবে একমাত্র আয়কর ছাড় পাওয়া যায়।