জীবনের অনেকগুলি বসন্ত পার করে ফেলেছেন ইন্দ্রাণী। আজ তিনি ৫০, কিন্তু কোথাও গিয়ে বার্ধক্যের ছায়া নেই। দূরদর্শনের মহালয়াতে যখন ইয়া বড় চোখ নিয়ে মহিষাসুরমর্দিনী করে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের মন জয় করেছিলেন সেরকম আজও তাঁর মায়াবী চোখ আর নৃত্য শৈলী দর্শকদের টানে।
প্রায় প্রতি বছর নিজের জন্মদিনের দিন ইন্দ্রাণী হয় বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিয়ে আনন্দে মেতে থাকেন নয়তো এইচআইভি ছেলেমেয়েদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করেন। অবশ্য তাঁর জন্মদিনের দিন একটা আক্ষেপ নাকি আজও আছে, আর তা হল বাবার থেকে টেডি না পাওয়ার যন্ত্রণা। একবার এক সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রাণী হালদার বলেছিলেন “আমি খুব ভালবাসি টেডিবিয়ার”। শুধু টেডি নয়, তিনি তাঁর মায়ের হাতে বানানো পোলাও খেতেও খুব পছন্দ করেন।
View this post on Instagram
‘গোয়েন্দা গিন্নি’ ইন্দ্রাণীকে কখনো কেউ ‘সীমা-রেখা’ নামে চেনেন সিরিয়াল দর্শকরা, আবার ‘ময়ূরাক্ষী’র মতো ছবিতে ‘সাহানা’ হয়েও তিনি মন জয় করেছেন দর্শকদের। বর্তমানে ‘শ্রীময়ী’ হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন খুব বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করেন তিনি।
View this post on Instagram
অবশ্য ইন্দ্রানীর প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে সেরা অভিনয় হিসেবে আজও বিবেচিত হয় ‘দহন’। সেদিনের এক সাহসী স্কুল শিক্ষিকা ঝিনুককে আজও সিনেমা প্রেমী মানুষেরা মনে রেখেছে। এই ঝিনুক চরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিলেন ঠিকই কিন্তু তারপরেও একাধিক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন তিনি। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘চরাচর’ হোক বা রানি মুখার্জির প্রথম ছবি ‘বিয়ের ফুল’ বা বাংলা ছবি ‘নিয়তি’ অথবা ‘কুয়াশা যখন’ কিংবা ‘অনু’ সমস্ত ছবিতে অসামান্য কাজ করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে এতো ব্যস্ততার মাঝেও ক্লান্তি নেই বরং এই ব্যস্ততাই হল ‘জীবন’।
View this post on Instagram