বাঙালি দুটো বিষয় নিয়ে বেশ আবেগপ্রবণ। রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ। এই দুই মানুষকে নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য তো দূরের কথা কোনরকম ভেজাল পছন্দ করে না। আসলে এই দুটো মানুষ বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছে। দেশে বিদেশে এই দুই মানুষ দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পেরেছে বাঙালি জাতির। কে বলেছে বাঙালিরা অলস? কেইবা বলেছে বাঙালি শুধু রাজনীতি জানে? এই দুটো মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে যে বাঙালিরা চাইলে অনেক কিছু প্রমাণ করতে পারে। তাই এই দুজনের কৃতিত্ব অনস্বীকার্য। সম্প্রতি, সত্যজিৎ রায়ের নাম ভূমিকায় কাজ করছেন টেলিভিশন অভিনেতা জিতু কমল ( Jeetu Kamal)।
হ্যাঁ, সম্প্রতি হয়ে গেল ‘অপরাজিত’-র স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং। এটি হল একটি সিনেমা, যেখানে জিতু অভিনয় করছেন নিজে সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায়। অর্থাৎ, জিতু হলেন পর্দার সত্যজিৎ।
মুলত এই ছবির (অপরাজিত) মূল ফোকাস হল ‘পথের পাঁচালী’-র মেকিং নিয়ে সত্যজিৎ রায় কিভাবে পথের পাঁচালী তৈরি করলেন তার খুঁটিনাটি গপ্প রয়েছে ‘অপরাজিত’ সিনেমায়। অনীক দত্ত পরিচালিত এই ‘অপরাজিত’ (Aparajito) ছবিতে কাজ করেছেন জিতু। সম্প্রতি, অভিনেতা জিতু নিজেই প্রকাশ করেছেন তার অভিজ্ঞতার কথা। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। জানান যে এই কঠিন চরিত্র করতে গিয়ে সমালোচনা হতেই পারে কিন্তু তিনি সমালোচনাকে ভয় পান না। উল্লেখ্য, জিতু অভিনীত অপরাজিত দেখে শ্যাম বেনেগল প্রশংসা করেন জিতুর অভিনয়ের। আর এটাই জিতুর কাছে বিশেষ স্মরণীয় মুহূর্ত বলে দাবী।
সিনেমা ও শ্যুটিং প্রসঙ্গে জিতু এও বলেন যে যতদিন শ্যুটিং চলেছে তার স্ত্রী নবনীতা প্রায় তেইশ-চব্বিশ দিনের জন্য নিজের ফ্ল্যাটে গিয়ে থেকেছেন। সেইসময় জিতুর সমস্ত ধ্যান জ্ঞান ছিল সত্যজিৎ রায়। কিভাবে তার চরিত্র বাস্তবায়িত করা যায় এটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। কেছারাও তিনি জানতেন যেই ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন, সেখানে পান থেকে চুন খসলে লোকে ছেড়ে কথা বলবে না। একটা দড়ির ওপর দাঁড়িয়ে ব্যালান্স করার মতো। সেই জন্য একা থেকে মনঃসংযোগ করা জরুরি ছিল। আর তাই একাই চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য সম্পূর্ণ প্রয়াস চালিয়ে যান। সম্প্রতি স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং হয়ে গেল, এখন দর্শকদের মতামত দেওয়ার অপেক্ষা। আগামী ১৩ মে সাড়ম্বরে মুক্তি পাবে জিতু অভিনীত অপরাজিত।